বাংলাদেশি তারকা পেসার মুস্তাফিজুর রহমান সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন গত বছর ফেব্রুয়ারিতে। চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টের পর  এই ফরম্যাটে আর কোনো ম্যাচ খেলেননি তিনি। বিসিবি টেস্ট ফরম্যাটের পরিকল্পনা নিয়ে কাটার-মাস্টারের সঙ্গে বসবে, কারণ বোর্ড তাঁকে টেস্টে পেতে চায়।

বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস ক্রিকবাজকে এই তথ্য জানিয়েছেন। মুস্তাফিজ এর আগে ২০২১ সালে টেস্ট চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। তখন ফরম্যাট অনুযায়ী চুক্তি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিসিবি।

বিসিবি অবশ্য মনে করে মুস্তাফিজের সঙ্গে বসার এবং সারা বিশ্বে কোভিড প্রোটোকল তুলনামূলকভাবে শিথিল হওয়ায় তাঁর মন পরিবর্তন হয়েছে কি না তা জানার এখনই সঠিক সময়।

২০১৫ সালে টেস্ট অভিষেক হওয়ার পর থেকে, এই সময়ে বাংলাদেশ যে ৩৯টি টেস্ট খেলেছে তার মধ্যে মাত্র ১৪টিতে মুস্তাফিজকে দেখা গেছে।

বাংলাদেশ দলের নতুন নিযুক্ত পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, টেস্টে মুস্তাফিজের এখনও অনেক কিছু দেওয়ার আছে।

বিসিবির পরিচালক জালাল ইউনুস ক্রিকবাজকে বলেন, ‘আমরা তার সঙ্গে লাল বলের ক্রিকেট নিয়ে কথা বলব (যেহেতু বর্তমান সময়ে খুব কমই  কঠোর জৈব-সুরক্ষিত প্রোটোকল আছে)।’

গত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে মুস্তাফিজের নাম আলোচনায় এসেছিল, যখন তাসকিন আহমেদ এবং শরিফুল ইসলাম ইনজুরির কারণে বাদ পড়েছিলেন।

বিসিবি আগামী বছর থেকে খেলোয়াড়দের জাতীয় চুক্তি চূড়ান্ত করার আগে তাদের পছন্দ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা না করে তাদের ফরম্যাট ঠিক করবে। এ ব্যাপারে জালাল ইউনুস বলেন, ‘পরের বার আমরা বলব না, আমাদের জানান কে কোন ফরম্যাটে খেলতে চায়। আমরা বলব আপনাকে এই ফরম্যাটে খেলতে হবে। পরবর্তীতে যদি কোনো খেলোয়াড় আলোচনা করতে চায়, সে তিনটি ফরম্যাটে খেলবে না, আমরা আলোচনা করে ঠিক করব।’

এদিকে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহসহ প্রায় ১৭-১৮ জন ক্রিকেটার গতকাল বুধবার বিসিবির সঙ্গে জাতীয় চুক্তিতে সই করেছেন।