মুস্তাফিজের ব্যর্থতার দিনে দিল্লির পঞ্চম হার
সময়টা ভালো যাচ্ছে না দিল্লি ক্যাপিটালসের। কোনোভাবেই জয়ের দেখা পাচ্ছে না দলটি। টেবিলের তলানীতে থাকা দিল্লি এবার কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে পেল চলতি আসরে টানা পঞ্চম হারের স্বাদ। দিল্লির মতো এদিন বল হাতে ব্যর্থ ছিলেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
আজ শনিবার (১৫ এপ্রিল) আরসিবির ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৭৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় বেঙ্গালুরু। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানের বেশি তুলতে পারেনি দিল্লি। ২৩ রানের জয়ে চলতি আসরে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল কোহলির দল।
টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে আরসিবির দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও ফাফ ডু প্লেসিস। এই দুইজনের ৪২ রানের জুটিতে ভর করে ৪ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৪২ রান তুলে বড় স্কোরের ইঙ্গিত দেয় বেঙ্গালুরু। যদিও দলীয় ৪২ রানে মিচেল মার্শের বলে আমান হাকিমকে ক্যাচ দিয়ে ব্যাক্তিগত ২২ রানে ফেরেন ডু প্লেসিস। তবে ডু প্লেসিস ফিরলেও ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন কোহলি। দলীয় ৮৯ রানে কোহলি বিদায় নিলে কিছুটা চাপে পড়ে বেঙ্গালুরু। ব্যক্তিগত ৫০ রানে ললিত যাদবের বলে ইয়াশ দুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কোহলি।
পরবর্তীতে ম্যাক্সওয়েল ও লোমররের ব্যাটে ফের বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও তাতে সফল হতে পারেনি আরসিবি। দলীয় ১১৭ রানে মার্শের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হয়ে ব্যক্তিগত ২৬ রানে সাজঘরে ফেরেন লোমরর। তার বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও শাহবাজ-রাওয়াতদের ব্যাটে স্কোরবোর্ডে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় আরসিবি। দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মিচেল মার্শ ও কুলদীপ যাদব। এদিন বল হাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ ছিলেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। ৩ ওভার বল করে ৪১ রান খরচ করলেও উইকেটশূন্য ছিলেন দ্য ফিজ।
১৭৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার পৃথ্বী শ কে হারিয়ে বড় ধাক্কা খায় দিল্লি। দলীয় ১ রানের মাথায় বিদায় নেন ডানহাতি এই ব্যাটার। সেই ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই দলীয় ২ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় দিল্লি। এবার বিদায় নেন মিচেল মার্শ। তার বিদায়ের চাপ সামাল দিতে পারেননি ইয়াশ দুল। দলীয় ২ রানের মাথায় বিদায় নেন এই ব্যাটারও। সবমিলিয়ে মাত্র ২ রানের মাথায় এতগুলো ধাক্কা সামাল দিতে পারেনি দিল্লি।
যার প্রভাব পড়েছে তাদের পুরো ইনিংসে। শুরুর চাপ সামাল দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন অধিনায়ক ওয়ার্নার। দলীয় ৩০ রানের মাথায় বিদায় নেন তিনিও। এরপর মনিশ পান্ডে আরেক ব্যাটার অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে চাপ সামাল দেন। তবে তারাও বড় জুটি গড়তে পারেননি। দলীয় ৮০ রানের মাথায় বিদায় নেন অক্ষর।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যেতে হয় দিল্লিকে। শেষমেশ ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৫১ রানের বেশি তুলতে পারেনি দিল্লি। দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন পান্ডে। বেঙ্গালুরুর হয়ে বিজয়কুমার ৩টি, সিরাজ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
এই হারে পয়েন্ট টেবিলে তলানীতে আছে দিল্লি। চলতি আসরে এখনও জয়ের খোঁজ না পাওয়া দিল্লির জন্য পথটা সময়ের সাথে কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। অন্যদিকে ৪ ম্যাচে ২ জয় আর ২ হারে পয়েন্ট টেবিলের সাতে অবস্থান কোহলির বেঙ্গালুরুর।