মেসিদের ক্লাব সভাপতির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, চলছে তদন্ত
পিএসজিকে নিয়ে যেন আলোচনা থামছেই না। একের পর এক ইস্যুতে খবরের শিরোনামে ফরাসি ক্লাবটি। এবার সেই তালিকায় যোগ হলো পিএসজির সভাপতি নাসের আল খেলাইফির নাম। গুরুতর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ পুরোনো হলেও, নতুন করে শুরু হয়েছে তদন্ত।
২০২০ সালে খেলাইফির বিরুদ্ধে নির্যাতন ও অপহরণের অভিযোগ ওঠে। আলজেরিয়ান বংশোদ্ভুত লবিস্ট তায়েব বেনাবদেরামানে ওই অভিযোগ করেন। এমনকি অভিযোগের বিষয়ে তার কাছে যথেষ্ট নথি ও তথ্য প্রমাণ আছে বলেও দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে বেনাবদেরামানে খেলাইফির যৌন মিলনের ভিডিও সংরক্ষণ করেছেন বলেও দাবি করছেন।
গতকাল বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রিয় ফুটবলভিত্তিক ওয়েবসাইট গোল ডটকমের প্রতিবেদন অনুসারে, খেলাইফির স্মার্টফোন তায়েব বেনাবদেরামানের কাছে ছিল। পাশাপাশি খেলাইফির বিরুদ্ধে যায় এমন নথিপত্র এবং তার যৌন মিলনের ভিডিও ছিল তার কাছে। সেসব নথিপত্র কাতারের ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজন করার স্বত্ব পাওয়া নিয়ে।
আর এই অভিযোগটির পর কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে ওঠা বিতর্ক আরও জোরদার হয়েছে। সেসময় কাতার অনৈতিকভাবে দায়িত্ব পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয় ২০২৬ এবং ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ মধ্যপ্রাচ্যে সম্প্রচারের স্বত্ব বেইন মিডিয়ার পাওয়ার বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র তায়েব বেনাবদেরামানের দখলে ছিল। আর বেইন মিডিয়ার সভাপতি নাসের আল খেলাইফি।
গোলের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নাসের আল খেলাইফির লোকেরা তাকে (বেনাবদেরামানেকে) অপহরণ করে আটকে রেখে নির্যাতন করে। যার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন খেলাইফি, এমনটিই অভিযোগে দাবি করেন বেনাবদেরামানেকে।
যদিও পিএসজি সভাপতি খেলাইফি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিষয়টিকে সাজানো ও মিথ্যা বলে জানিয়েছেন তিনি। খেলাইফির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আদালত খারিজ করে দেন। সেই বিষয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়েছে ফরাসি বিচারকের অধীনে। অভিযোগকারী ফ্রান্সের নাগরিক হওয়ায় সেই অভিযোগে তদন্ত করবেন তারা। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বড় শাস্তি পেতে পারেন পিএসজি মালিক।