মেসিময় ম্যাচে ইকুয়েডরকে উড়িয়ে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা
ফেভারিটের তকমা নিয়ে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লিখিয়েছিল আর্জেন্টিনা। মূল লড়াইয়ে ফেভারিটের মতোই খেলল প্রতিযোগিতার ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নেরা। দুই অ্যাস্টিস্টে সতীর্থদের দিয়ে দুই গোল করালেন লিওনেল মেসি। শেষে নিজেও করলেন এক গোল। মেসিময় ম্যাচে ইকুয়েডরকে উড়িয়ে কোপার সেমিফাইনালে পা রাখল দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ব্রাজিলের অলিমম্পিকো স্টেডিয়ামে আজ রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় শুরু হওয়া ম্যাচে ইকুয়েডরকে ৩-০ গোলে হারাল আর্জেন্টিনা। দলের হয়ে মেসি ছাড়াও গোল করেছেন রদ্রিগো ডি পল ও মার্টিনেস।
কোপার চলতি আসরে ড্র দিয়ে শুরু করা আর্জেন্টিনা এখনও চলতি টুর্নামেন্টে অপরাজিত আছে। অন্যদিকে, একটিও জয় না পাওয়া ইকুয়েডর বিদায় নিল শূন্য হাতে।
এদিন ম্যাচটির শেষ পর্যন্ত বল দখলে এগিয়ে ছিল ইকুয়েডর। তবে আক্রমণে বেশ এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। পুরো ম্যাচে প্রতিপক্ষ শিবিরে ২১ বার শট নেয় আর্জেন্টাইনরা। যার মধ্যে আটটিই ছিল অনটার্গেট শট। অন্যদিকে ১০বার শট নেওয়া ইকুয়েডরের অনটার্গেটে ফেলার মতো শট ছিল কেবল দুটি। যার একটিও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি।
এদিন ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু, গোলকিপার গালিন্দের কল্যাণে সে যাত্রায় বেঁচে যায় ইকুয়েডর। এর তিন মিনিট পর ইকুয়েডরের জাল লক্ষ্য করে ডিপলের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
১৭ মিনিটে কর্নার পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারল না আর্জেন্টিনা। অধিনায়ক মেসির কর্ণার কিক থেকে বল ধরেন পেজেল্লা। বুক থেকে বল নামিয়ে ইকুয়েডরের পোস্ট লক্ষ্য করে শট নিলেও তা টার্গেটে রাখতে পারেননি মেসি।
নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে পাল্টা আক্রমণে ওঠে ইকুয়েডরও। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত গোল আসে বিরতির আগমুহূর্তে। ম্যাচের ৪০ মিনিটে বা দিক থেকে লিওনেল মেসির বাড়ানো বল ধরে ছোট ডি বক্সে ঢুকে হালকা ঠেলে দিয়ে গোলটি করেন ডি পল। ফলে স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যেতে পারেন মেসিরা।
বিরতি থেকে ফিরে গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয় আর্জেন্টিনাকে। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে দলের দ্বিতীয় গোল করেন মার্টিনেস। সেখানেও অবদান ছিল মেসির। অধিনায়কের বাড়ানো পাস ধরে ইকুয়েডরের জালে বল পাঠান মার্টিনেস।
সতীর্থদের দিয়ে দুই গোল করানো মেসি নিজে জালের দেখা পান শেষ দিকে। ইনজুরি সময়ের তৃতীয় মিনেটে বাঁ পায়ের দারুণ ফ্রি কিকে স্কোরলাইন ৩-০ করেন রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার। ফলে জয়ের উচ্ছ্বাস নিয়ে মাঠে ছাড়ে আর্জেন্টিনা।
‘এ’ গ্রুপে শীর্ষে থেকেই শেষ আটে ওঠে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। তাদের প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর কোনোমতে শেষ আটে ওঠে।
চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শেষ আটে নাম লেখায় আর্জেন্টিনা। শুরুতে তারা খুব একটা ভালো খেলতে পারছিল না। ১-১ গোলে ড্র করে চিলির সঙ্গে। লিওনেল মেসির গোলে এগিয়ে যাওয়া আর্জেন্টিনার লাগাম টেনে ধরেন চিলির তারকা এডুয়ার্ডো ভার্গাস। দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ায় জয় তুলে নেয় লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
এরপর উরুগুয়েকে ১-০ গোলে হারানোর পর প্যারাগুয়েকেও একই ব্যবধানে হারিয়ে তিন পয়েন্ট পায় আর্জেন্টিনা। গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে মেসির জোড়া গোলে বলিভিয়াকে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারায় সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নেরা।
অবশ্য টুর্নামেন্টে এখনো জয়ের দেখা পায়নি ইকুয়েডর। স্বাগতিক ব্রাজিলকে ১-১ গোলে রুখে দিয়ে শেষ আটে ওঠে তারা।