মেসি-আলভারেজে প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার উচ্ছ্বাস
আর্জেন্টিনার জাতীয় পতাকায় সূর্যটা হাসছে। লুসাইল স্টেডিয়ামে আর্জেন্টাইন দর্শকরাও হাসছে। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধে দুরন্ত শুরু এনে দিয়েছেন আকাশী নীলরা। নক আউটে আগের দুই ম্যাচে যেখানে মাত্র এক গোল হজম করে ক্রোয়েশিয়া, সেখানে প্রথমার্ধেই আর্জেন্টিনা দিয়ে দিল জোড়া গোল।
বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধ শেষে ২-০ গোলে এগিয়ে গেল লিওনেল মেসিরা। দুই স্কোরার হলেন মেসি ও আলভারেজ।
প্রথম সেমিফাইনালের শুরু থেকে ধীরে এগোতে থাকে দুই দল। ৪-৪-২ ফর্মেশনে আর্জেন্টিনা এবং ৪-১-২-৩ ফর্মেশনে ক্রোয়েশিয়া রণকৌশল সাজায়। মধ্যমাঠের নিয়ন্ত্রণ রাখতে ছোট ছোট পাসে আক্রমণ শানাতে থাকে উভয় দল। ২৪ মিনিটে আর্জেন্টাইন তারকা ফার্নান্দেজের শট রুখে দেন ক্রোয়াট গোলরক্ষক ডমিনিক লিভাকোভিচ।
ম্যাচের ৩০ তম মিনিটে ক্রোয়াট ফরোয়ার্ড ইভান পেরিসিচের লব বারপোস্ট ঘেঁষে যায়। প্রথমার্ধে ক্রোয়েশিয়ার প্রথম আক্রমণ এটিই। ৩১ মিনিটে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। ওয়ান টু ওয়ানে আলভারেজকে ফাউল করেন গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। তিনি দেখেন হলুদ কার্ড। পেনাল্টির সুযোগে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
পেনাল্টি থেকে এবার আর গোল করতে ভুল করেননি মেসি। এই গোলে বাতিস্তুতাকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলদাতা বনে যান মেসি। বিশ্ব আসরে মেসির গোলসংখ্যা এখন ১১টি।
গোল পেয়ে আক্রমণের গতি বাড়ায় আলবিসেলেস্তেরা। ৩৮ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে দ্বিতীয় গোল পায় তারা। এবার গোল পান আলভারেজ। ৪২ মিনিটে কর্ণার থেকে মাথা ছোঁয়ান আলভারেজ৷ সেই যাত্রায় রক্ষা করেন লিভাকোভিচ। ক্রোয়েশিয়া চেষ্টা করলেও শোধ করতে পারেনি গোল। তাতে উচ্ছ্বাস নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করে আর্জেন্টিনা।