মেসি ভক্ত পরী মণি অভিনয় করতে চান সাকিবের বায়োপিকে
মিরপুর শেরেবাংলায় তখন উইকেট উৎসবে মেতেছিলেন নাসুম আহমেদ। গ্যালারিতেও তখন তরুণ স্পিনারকে নিয়ে উল্লাস চলছে। ঠিক তখনই নজর কাড়েন এই সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী পরী মণি। যেই গ্যালারিতে পা রাখেন, সেখানে কিছুক্ষণের জন্য স্লোগান ওঠে পরী মণিকে নিয়ে। কেউ পরী মণি বলে, কেউ আবার ভাবি বলে আওয়াজ তোলেন।
আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে পরী মণি অভিনীত সিনেমা ‘মুখোশ’। সেটার প্রচারের জন্যই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে পা রাখেন পরী মণি। সঙ্গে ছিলেন সিনেমার পরিচালক ইফতেখার শুভ ও অন্যান্যরা। সিনেমা প্রচারের এক ফাঁকে পরীর খেলা প্রেম নিয়ে কথা ওঠে। তখন পরী জানান, সাকিব আল হাসান তাঁর প্রিয় ক্রিকেটার। সুযোগ পেলে সাকিব আল হাসানের বায়োপিকে অভিনয় করতে চান সময়ের এই আলোচিত অভিনেত্রী।
সাংবাদিকদের সামনে পরী জানান, সবকিছু মিলে গেলে সাকিবের সঙ্গে অভিনয় করতে তাঁর আপত্তি নেই, ‘ইচ্ছে থাকলে তো হবে না। ব্যাটে-বলে তো মিলতে হবে। জিনিসটা হচ্ছে খেলার মতো ব্যাটে-বলে মিলতে হবে। সিনেমা কেউ বানাক সাকিবকে নিয়ে। যদি কেউ আমাকে নিতে চায়, ক্যারেকটার মিলে যায় তাহলে অবশ্যই করব।’
আজই প্রথমবার ক্রিকেট মাঠে এসেছেন পরী। শেয়ার করেছেন সেই অভিজ্ঞাতাও, ‘আসলে সত্যি বলতে আমি আজ প্রথমবার মাঠে আসলাম। কাল রাতে যখন শুনলাম মাঠে আসব, তখন থেকে ঈদের তো খুশি কাজ করছিল। আমার সিনেমার প্রমোশনের ব্যাপার তো ছিলই তবে অনেক বেশি উত্তেজিত ছিলাম। আমি এসে যখন এখানে এত ক্রাউড শুনলাম, খোলা আকাশের নিচে এত মানুষ খুব ভালো লাগছিল। যদিও এটা দেখে আমরা অভ্যস্ত। খোলা আকাশের নিচে এত মানুষ, এটা অন্যরকম অনুভূতির। একটা খেলার মাঠ, একটা সিনেমা হল। দুটিতেই ক্রাউড থাকে দুটিরই ফিলিং অন্যরকম।’
পরী শুধু সাকিবের ফ্যান নয়, তিনি পছন্দ করেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসিকেও। ক্রিকেটের চেয়ে তাঁর ফুটবল প্রেম বেশি জানিয়ে পরী বলেন, ‘বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্য সাকিব আল হাসানকে পছন্দ করি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাঁচ-ছয় জন ক্রিকেটারকে আমি অনুসরণ করি। তবে কারো সঙ্গে সেভাবে আলাপ হয়নি বা কথা হয়নি। তবে আমি ফুটবল লাভার। ক্রিকেট সেভাবে ফলো করা হয় না। ফুটবল আমার ভালো লাগে। মেসি আমার প্রিয় খেলোয়াড়।’
আগামীকাল শুক্রবার দেশব্যাপী ৩৮ সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে ‘মুখোশ’। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পায় সিনেমাটি। ব্যাচেলর ডট কম প্রডাকশনের প্রযোজনায় ‘মুখোশ’ নির্মিত হয়েছে পরিচালক ইফতেখার শুভর লেখা ‘পেইজ নাম্বার ৪৪’ উপন্যাস অবলম্বনে। সিনেমাটির অন্যতম প্রযোজকও পরিচালক।