ম্যাচ ও সিরিজ সেরার মুকুট সাকিবের
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে দারুণ খেলেছেন সাকিব আল হাসান। চতুর্থ ম্যাচ ছাড়া সবকটিতেই দলের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। তাই সিরিজ সেরার পুরস্কার উঠেছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের হাতে। আজ শেষ টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।
পুরো সিরিজে ব্যাট হাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১৪ রান করেছেন সাকিব। সর্বোচ্চ ১৫৬ রান করেছেন মিচেল মার্শ। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও সাত উইকেট নিয়েছেন সাকিব। সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি। তাই ম্যাচ ও সিরিজ সেরার মুকুট উঠেছে সাকিবের মাথায়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই নিয়ে ১৬ বার সিরিজসেরা হয়েছেন সাকিব। সর্বোচ্চ ২০ বার হয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ বার বিরাট কোহলি।
এ ছাড়া টি-টোয়েন্টিতে চতুর্থবার সিরিজ সেরা হয়েছেন সাকিব। সাকিবের ওপরে আছেন কেবল বিরাট কোহলি। তিনি হয়েছেন সাতবার।
আজকের ম্যাচটিতে ৯ রান দিয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন সাকিব। এই চার উইকেট নেওয়ার মাঝেই টি-টোয়েন্টিতে উইকেট শিকারের সেঞ্চুরি করেছেন বাংলাদেশি তারকা।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম টি-টোয়েন্টি নিজের শততম টি-টোয়েন্টি উইকেট শিকার করেন সাকিব। বাংলাদেশি তারকার ১০০তম শিকার অ্যাস্টন টার্নার।
৯৮ উইকেট নিয়ে আজকের ম্যাচটি শুরু করেছিলেন সাকিব। বল হাতে এসেই ম্যাথু ওয়েডকে বোল্ড করে শুরু করেন তিনি। পরের ওভারেই বল হাতে তুলে নেন টার্নারকে। সাকিবের বলে শর্ট কাভারে মাহমুউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন টার্নার।
নিজের ৮৪ ম্যাচে এসে উইকেট শিকারের সেঞ্চুরি করেন সাকিব। শততম উইকেট নেওয়ার দিনে নাথান এলিস ও অ্যাডাম জাম্পাকেও আউট করেছেন তিনি। সাকিবের দাপুটে বোলিংয়ে মাত্র ৬২ রানেই অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টিতে অজিদের এটাই সর্বনিন্ম দলীয় সংগ্রহ। আগেরটি ছিল ৭৯। ২০০৫ সালে সাউাম্পটনে ইংল্যান্ডের কাছে ১৪.৩ ওভারে ৭৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিলেন তারা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের রেকর্ড লাসিথ মালিঙ্গার দখলে। ৮৪ ম্যাচে ১০৭ উইকেট শিকার করেছেন লঙ্কান পেসার। মালিঙ্গার সমান ম্যাচ খেলে ১০২ উইকেট শিকার করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে সাকিব। তিনে থাকা টিম সাউদি ৮৩ ম্যাচে ৯৯ উইকেট শিকার করে তৃতীয় স্থানে আছেন।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের শেষ ম্যাচটা ৬০ রানের বড় ব্যবধানে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। এ জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতলেন স্বাগতিকরা। ব্যাট হাতে ১১ রান করেন সাকিব। বল হাতে ৩.৪ ওভারে ৯ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন। টি-টোয়েন্টিতে এটা তার দ্বিতীয় ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। তার সেরা বোলিং ফিগার ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ রানে ৫ উইকেট।