‘যা অর্জন করা উচিত ছিল সে তুলনায় খুব কম হয়েছে’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশ ২৩৪ রানে অলআউট গেছে। আগের টেস্টের তুলনায় কিছুটা ভালো করলেও আশানুরূপ সাফল্য পায়নি দল। তাই ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সের কণ্ঠে ঝরে পড়েছে হতাশা।
তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন শান্ত, এনামুল হক ও লিটন দাস গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও ইনিংসটাকে লম্বা করতে পারেননি। এই ব্যর্থতার জন্য ব্যাটারদের শট নির্বাচনকে দায়ী করেছেন ব্যাটিং কোচ।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সিডন্স বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম এবার ব্যাটাররা অনেক বেশি ধৈর্যশীল হবে। বল দেখে-শোনে খেলবে। প্রথম টেস্টের পর থেকে গত সপ্তাহে তা নিয়ে আমরা অনেক কাজ করেছি। তারপরও সে অনুয়ায়ী ব্যাট করতে পারেনি ব্যাটাররা। অবশ্য ক্যারিবীয় বোলাররা সত্যিই ভালো বল করেছে। অবশ্য এই উইকেটে ২৩৪ রান যথেষ্ট নয়।’
দলের ব্যাটিং কোচ আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল শুধু বেশিক্ষণ ব্যাট করা। টেস্ট ক্রিকেটে আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাট করতে হবে। দিন শেষে আপনাকে সেখানে থাকতে হবে, যেন পরদিনও ব্যাট করতে পারেন। আমরা এই মুহূর্তে তা করতে ব্যর্থ হচ্ছি। আমি ভেবেছিলাম তামিম, লিটন অসাধারণ কিছু করবে। কিন্তু ৪০-৫০ রানের মধ্যে আটকে গেছে তারা। ব্যাটারদের এমন স্কোর দিয়ে দলের সংগ্রহ খুব একটা বড় হয় না।’
তরুণ খেলোয়াড়দের ব্যাটিং নিয়ে সিডন্স বলেন, ‘তরুণদের দুজনকে সত্যিই আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছিল। কিন্তু তারা পেরনি। অবশ্য আম্পায়ারের দু’একটি সিদ্ধান্ত খুব ভালো হয়নি। তবে আমরা এই মুহূর্তে ভালো অবস্থানে নেই।’
সেন্ট লুসিয়ার এই উইকেটে বড় সংগ্রহ গড়া সম্ভব ছিল। ৪০০ স্কোর নিয়ে শেষ করতে পারত বাংলাদেশ। নয়-দশ নম্বরে ব্যাট করতে নামা ইবাদত হোসেন ও শরিফুল ইসলামকে দেখে তাই মনে হয় বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচের।
অস্ট্রেলীয় সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আজ এই উইকেটে কোনো সুইং ছিল না। প্রথম টেস্টে যা আমাদের ভুগিয়ে ছিল। শরিফুল শেষ দিকে খুব আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছে। আমাদের শুরুটা ভালো ছিল। যেখানে ১০০ রানে দুই উইকেট, সে হিসেবে ৪০০ রান করা যেতো। আজ যা অর্জন করা উচিত ছিল সে তুলনায় খুব কম হয়েছে।’