রিজওয়ানের বালিশ প্রেমের রহস্য কী?
পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা তারকা মোহাম্মদ রিজওয়ান। বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত খেলে প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন। বিশ্বকাপ অভিযান শেষে পাকিস্তান দলের গন্তব্য এবার বাংলাদেশ। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে এসেছে পাকিস্তান। দলের সঙ্গে এসেছেন রিজওয়ান। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন তাঁর প্রিয় বালিশ।
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সরাসরি বাংলাদেশে এসেছে পাকিস্তান দল। দুবাই হয়ে রিজওয়ানের সঙ্গে বাংলাদেশে এসেছে তাঁর প্রিয় বালিশটিও। একেবারে দুবাইয়ের টিম হোটেল থেকে শুরু করে পুরোটা সময় বালিশটিকে আকড়ে ধরে ছিলেন রিজওয়ান। টিম হোটেল থেকে দুবাইয়ের এয়ারপোর্ট, এরপর বিমান যাত্রার পর বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট। এমনকি বাসে করে বাংলাদেশে টিম হোটেল। কোথাও বালিশটিকে হাতছাড়া করেননি তিনি। এমনকি যখন ভক্তদের অটোগ্রাফ দিচ্ছিলেন তখনও বুকের মধ্যে ধরে রেখেছিলেন বালিশটি।
রিজওয়ানের বালিশ প্রেমের মুহূর্তগুলো ঘুরে বেড়োচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সবারই প্রশ্ন রিজওয়ানের বালিশ প্রেমের এই রহস্য কী?
পিসিবির বরাত দিয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানয়েছে, এই বালিশ রিজওয়ানের খুব প্রিয়। যেখানেই যান, সঙ্গে করে নিয়ে যান। রিজওয়ান বালিশটি নিজের বাসা থেকেই নিয়ে এসেছেন। এ বালিশে খুব আরামের ঘুম হয় রিজওয়ানের। তাই সব জায়গায় এটা নিয়ে যান।
এবার বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন রিজওয়ান। গত বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালেও ৬৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেন তিনি। কিন্তু ওই ম্যাচের আগেই ফুসফুসের সমস্যার কারণে সেমির আগে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) যেতে হয়েছিল রিজওয়ানকে।
সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ম্যাচটিতে ৫ উইকেটে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। ম্যাচের পর রিজওয়ানের লড়াইয়ের গল্প সংবাদমাধ্যমে শেয়ার করেন পাকিস্তান দলের চিকিৎসক নাজিব সুমরো।
সংবাদমাধ্যমকে নাজিব বলেন, ‘৯ নভেম্বর ফুসফুসে মারাত্মক সংক্রমণ দেখা দেয় রিজওয়ানের। এরপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং দুই রাত তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ছিলেন। এরপর অবিশ্বাস্যভাবে সেরে উঠে ম্যাচের আগে ফিট হয়ে ওঠেন। সেমিফাইনালে আমরা তাঁর নিবেদন ও দৃঢ়তা দেখেছি। পাকিস্তানের হয়ে খেলার জন্য তাঁর স্পিরিট আমরা দেখেছি। তিনি কেমন পারফর্ম করেছেন, সেটা সবাই দেখেছে।’