রুশ খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করায় উইম্বলডনের বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত
আগামী মাসেই শুরু হতে যাচ্ছে বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম প্রতিযোগিতা উইম্বলডন। ইউক্রেনের ওপর রুশ আগ্রাসনের কারণে এ প্রতিযোগিতায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে রাশিয়া ও বেলারুশের টেনিস খেলোয়াড়দের। বিষয়টি একেবারেই ভালোভাবে নেয়নি টেনিস অ্যাসোসিয়েশন—এটিপি। যার কারণে উইম্বলডন নিয়ে বড় সিদ্ধান্তে গেল এটিপি।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুসারে, টেনিসের ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্ট উইম্বলডনের কোনো গুরুত্ব আর র্যাঙ্কিংয়ে থাকল না। এখন থেকে এ টুর্নামেন্ট খেললেও র্যাঙ্কিংয়ে কোনো উন্নতি করতে পারবেন না জকোভিচ-নাদালরা।
এটিপির বিবৃতিতে জানায়, ‘যেকোনো দেশের খেলোয়াড় তাঁর যোগ্যতার ভিত্তিতে টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে, আমাদের প্রতিযোগিতার এটাই মূল উদ্দেশ্য। উইম্বলডন যে রাশিয়া এবং বেলারুশের খেলোয়াড়দের খেলতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা এটিপির ক্রমতালিকার নিয়মবিরুদ্ধ। তাই, এ পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য খুব দুঃখের সঙ্গে আমরা উইম্বলডন ২০২২ থেকে পয়েন্ট সরিয়ে নিচ্ছি। আমাদের সব নিয়ম খেলোয়াড়দের অগ্রাধিকার দিয়ে ভাবা হয়। ৩০টি দেশে যে ট্যুর হয়, সেখানে একটি দেশের ট্যুরে আলাদা নিয়ম মানা যায় না।’
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে দেশটির ওপর পড়তে শুরু করে নানা নিষেধাজ্ঞা। দেশটির ক্রীড়াক্ষেত্রেও পড়ে তার প্রভাব। সে ধারাবাহিকতায় উইম্বলডনের আয়োজক অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাব টেনিস খেলোয়াড়দেরও নিষেধাজ্ঞা দেয়।
এ কারণে পুরুষদের টেনিস র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর খেলোয়াড় রাশিয়ার দানিল মেদভেদেভ, মেয়েদের র্যাঙ্কিংয়ের চার নম্বর বেলারুশের আরিনা সাবালেঙ্কার মতো তারকারা এবারের উইম্বলডনে অংশ নিতে পারবেন না।
আগামী ২৭ জুন শুরু হবে উইম্বলডন,শেষ হবে ১০ জুলাই। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর জার্মানি ও জাপানের খেলোয়াড়দের উইম্বলডনে খেলতে দেওয়া হয়নি। এরপর এ প্রথম প্রতিযোগিতাটিতে কোনো দেশের ক্রীড়াবিদদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে।