রেকর্ডের দুয়ারে আসা বাংলাদেশকে ২০৭ রানে থামাল বৃষ্টি
চমৎকার ব্যাটিংয়ে সাগরিকায় রেকর্ড গড়ার দুয়ারে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ার থেকে বাংলাদেশ ছিল মাত্র ৯ রান দূরে। এত কাছে গিয়েও বেরসিক বৃষ্টির কারণে হলো না বাংলাদেশের রেকর্ড। বৃষ্টির বাধায় ৪ বল বাকি থাকতেই ২০৭ রানে শেষ হলো বাংলাদেশের ইনিংস।
আজ সোমবার (২৭ মার্চ) আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১৯.২ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫ উইকেটে ২০৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় দলীয় সর্বোচ্চ। এর আগের দুই দলীয় সর্বোচ্চ হলো ২১৫ ও ২১১ রান। আজ আগের দুই রেকর্ড ভাঙার সুযোগ থাকলেও বৃষ্টির কারণে আর সম্ভব হয়নি।
তবে সবমিলিয়ে দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়া না হলেও জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টির দলীয় সর্বোচ্চের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। এই মাঠের আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১৪ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার করা ১৯৬ রান। এবার সেটি ভেঙে বাংলাদেশের ২০৭ রানই এই ভেন্যুতে দলীয় সর্বোচ্চ।
আইরিশদের বিপক্ষে আজ দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন রনি তালুকদার। প্রথম হাফসেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া রনি ৩৮ বলে তিন ছক্কা ও সাত চারে করেন ৬৭ রান।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে বোলিং বেছে নেয় আয়ারল্যান্ড। তাতে মন্দ হয়নি বাংলাদেশের। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ করে দুর্দান্ত শুরু। দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার মিলে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন সাগরিকায়। শুরুর জুটিতে বাংলাদেশ তোলে ৯১ রান।
এর মধ্যে পাওয়ার প্লেতেই আসে ৮১ রান। যেটা পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ছিল ৭৬ রান, যেটা ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিল বাংলাদেশ।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে এই জুটি ভাঙতে পারে আইরিশরা। ৭.১ ওভারে ক্রেইগ ইয়ংয়ের স্লোয়ার বল মিড অফের ফিল্ডারের মাথার উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু টাইমিং ঠিক হয়নি। ফিল্ডার পল স্টালিং ক্যাচ লুফে নিতে দেরি ভুল করেননি। ২৩ বলে ৪৭ করে বিদায় নেন লিটন। ৪৩ বলে ভাঙে ৯১ রানের জুটি।
লিটন ফিরলেও থিতু হয়ে যান রনি। উইকেটে ঝড় তুলে মাত্র ২৪ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৬৭ রানে থামে রনির ইনিংস। ১৩.৬ ওভারে গ্রাহাম হিউমের বলে লাইন পুরোপুরি মিস করেন রনি। সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় এ ওপেনারকে।
মাঝে উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৪ রানেই ফেরেন সাজঘরে। উইকেটে থিতু হয়ে বাজে শটে বিদায় নেন শামীম হোসেন। ২০ বলে দুই বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৩০ রানে ভাঙে তার প্রতিরোধ।
মিডল অর্ডারে দ্রুত কয়েক উইকেট হারালে কমে যায় বাংলাদেশের রানের গতি। তবে শেষ পর্যন্ত ভালো পুঁজিই পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু ওভার শেষ করতে পারেননি। ১৯.২ ওভারে ২০৭ রানে থামতে হয় বাংলাদেশকে। শেষ দিকে ব্যাট হাতে ১৩ রান করেন তাওহিদ। তাঁর সঙ্গে সাকিব আল হাসান করেন ২০ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ : ১৯.২ ওভারে ২০৭/৫ (লিটন ৪৭, রনি ৬৭, শান্ত ১৪, শামীম ৩০, তাওহিদ ১৩, সাকিব ২০, মিরাজ ৪; ট্যাক্টর ২-০-১৬-১ , অ্যাডয়ার ৩.২-০-৪৮-১, হিউম ৪-০-৩৫-১, ইয়ং ৪-০-৪৫-২ , ডেলানি ৩-০-২১-০, হোয়াইট ৩-০-৩৭-০)।