রোনালদোর হ্যাটট্রিকে ম্যানইউর রোমাঞ্চকর জয়
পরপর দুবার এগিয়ে গিয়ে ম্যাচ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করলেন চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। করলেন অসাধারণ এক হ্যাটট্রিক। তাঁর হ্যাটট্রিকময় ম্যাচে টটেনহ্যাম হটস্পারকে হারিয়ে চলতি লিগের পয়েন্ট টেবিলে সেরা চারে ফিরল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শনিবার রাতে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে টটেনহ্যাম হটস্পারকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে ম্যানইউ। দলের জয়ের ম্যাচের তিনটি গোলই করেছেন সিআর সেভেন। হ্যাটট্রিক গড়ার সময় রেকর্ডও গড়লেন এ সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার। তাঁর রেকর্ডময় দিনে ম্যাচ জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ল রালফ রাংনিকের দল।
এদিন ম্যাচের ১২তম মিনিটেই দলকে লিড এনে দেন রোনালদো। কিন্তু, এগিয়ে যাওয়ার স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না। প্রথমার্ধেই সমতায় ফেরে টটেনহ্যাম। ৩৫তম মিনিটে সফল স্পট কিকে সমতা টানেন হ্যারি কেইন।
এর ঠিক তিন মিনিট পর আবারও দলকে এগিয়ে নেন রোনালদো। সতীর্থের পাস ধরে দারুণ শটে জাল খুঁজে নেন পর্তুগাল অধিনায়ক রোনালদো।
এ গোল করার পথে ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবল মিলিয়ে রোনালদোর গোল সংখ্যা হয় ৮০৬টি, যা ফুটবল ইতিহাসে ক্যারিয়ার গোলের হিসাবে সব সেরা খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশি। অবশ্য আগেই এগিয়ে গিয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু, ক্লাব ও জাতীয় দল মিলে কিছুটা বিতর্ক ছিল। এবার কোনো বিতর্ক আর জায়গা দিলেন না রোনালদো। সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন তিনি।
ম্যাচের ৭২তম মিনিটে হ্যারি ম্যাগুইয়ারের আত্মঘাতী গোলে আবার সমতায় ফেরে টটেনহ্যাম। ওই সময় ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা জাগে ম্যানইউর। কিন্তু কঠিন মুহূর্তে আরেকবার চমক দেখান রোনালদো। ৮১তম মিনিটে কর্নারে হেডে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন পাঁচ বারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার। দ্বিতীয় মেয়াদে ম্যানইউতে আসার পর এটিই তাঁর প্রথম হ্যাটট্রিক। আগের হ্যাটট্রিক ছিল ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে রোনালদোর হ্যাটট্রিক হলো এখন ৫৯টি। আর, ক্যারিয়ারে মোট গোল সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮০৭টি।
চলতি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ২৯ ম্যাচে ১৪ জয় ও ৮ ড্রয়ে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ২৭ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে আছে টটেনহ্যাম। ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে আছে ম্যানচেস্টার সিটি।