শততম টি-টোয়েন্টি জিততে বাংলাদেশের চাই ১৫৩
রেজিস চাকাভা ও মাধাভেরের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনার পর বড় সংগ্রহের আভাস দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারল না স্বাগতিকরা। ওই জুটি ভাঙলে জিম্বাবুয়েকে চেপে ধরে বাংলাদেশের বোলাররা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে ১৫২ রানের বেশি তুলতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। সুতরাং নিজেদের শততম টি-টোয়েন্টিতে জয়ের জন্য বাংলাদেশের চাই ১৫৩ রান।
হারারের স্পোর্টস ক্লাবে আজ বৃহস্পতিবার টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় ওভারেই স্বাগতিকদের ওপেনিং জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। ফিরিয়ে দেন ওপেনার টাডিওয়ানাশে মারুমানি। মুস্তাফিজের বল টেনে খেলার চেষ্টায় ব্যাটে লাগান তিনি, কিন্তু টাইমিং ঠিক হয়নি। মিপ মিডউইকেট সীমানা থেকে অনেকটা দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ নিয়ে নিয়েছেন সৌম্য সরকার।
তবে শুরুর ধাক্কা সামলে বেশ ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তোলে স্বাগতিকরা। তবে সেটা বেশিদূর যেতে দেননি সাকিব আল হাসান। নবম ওভারে মাধেভেরেকে ফিরিয়ে দেন তিনি।
সাকিবের বল লং অফ দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মাধেভেরে। কিন্তু ব্যাটের ভেতরের দিকে লেগে বল উপরে উঠে যায়। লাফিয়ে নিজের বল নিজেই ক্যাচ নেন সাকিব। ২৩ রানে ফেরেন মাধাভেরে, ভাঙে ৬৪ রানের জুটি।
১১তম ওভারে জোড়া ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। ঝড় তোলা চাকাভা ফিরে যান রান আউট হয়ে। ২২ বলে ৪৩ করে ফেরেন তিনি। এরপর ওই ওভারেই ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে ফেরান তরুণ বোলার শরিফুল ইসলাম।
এরপর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভারে ১৫২ রান করে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ২৩ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন। ৩১ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। ১৭ রান দিয়ে দুই উইকেট পেয়েছেন শরিফুল। সৌম্য পেয়েছেন একটি উইকেট।
একমাত্র টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে জয়ের স্বস্তি নিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। হারারের স্পোর্টস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি বাংলাদেশের শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
২০০৬ সালে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে পথচলা শুরু হয়। সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই আজ এই ফরম্যাটে নিজেদের ১০০তম ম্যাচ খেলছে লাল সবুজের দল।
নিজেদের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪৩ রানের জয় দিয়ে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। আজ আরেকবার জয়ে রাঙাতে মুখিয়ে আছে মাহমুদউল্লাহর দল।
এর আগে ওয়ানডে ও টেস্টে নিজেদের ১০০তম ম্যাচ জয় দিয়ে রাঙিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০০৪ সালে খেলেছিল শততম ওয়ানডে। ওইম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ১৫ রানে জিতেছিল লাল-সবুজরা। অন্যদিকে টেস্টে শততম ম্যাচ খেলে শ্রীলঙ্কার মাটিতে। ২০১৭ সালে কলম্বোর পি সারা ওভালে সেটিতেও জিতেছিল বাংলাদেশ।
অবশ্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে কখনও হারেনি বাংলাদেশ। পাঁচ সিরিজের দুটিতে জিতেছে লাল-সবুজরা, অন্য তিনটি ড্র হয়েছে।
তবে এটাও সত্য টি-টোয়েন্টিতে বর্তমানে সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। সবশেষ ১০ ম্যাচে জয় কেবল তিনটি। তাই জিম্বাবুয়ের মাটিতে টেস্ট ও ওয়ানডেতে জয়ের পর এবার টি-টোয়েন্টিতে জিততে মরিয়া মাহমুদউল্লাহরা।