শেষ ওভারের নাটকীয়তায় গুজরাটকে হারাল কলকাতা
শেষ ওভারে প্রয়োজন ২৯। রান এলো ৩১। ১, ৬, ৬, ৬, ৬, ৬। জশ দয়ালকে ৫ বলে ৫ ছয় মেরে মুঠো গলে বেরিয়ে যাওয়া ম্যাচটা অবিশ্বাস্যভাবে জিতে নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
চলতি আইপিএলে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামে গুজরাট টাইটান্স ও কলকাতা নাইট রাইডার্স। আজ রোববার (৯ এপ্রিল) দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুই দল। আগের দুই ম্যাচের দুটিতেই জয় পেয়েছিল গুজরাট। প্রথম ম্যাচে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছিল কলকাতা। গুজরাটের মাঠ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে দুদলই নামে টানা জয়ের আকাঙ্খায়। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় গুজরাটকে ৩ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয়ের দেখা পায় কলকাতা।
আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে গুজরাট করে ২০৪ রান। জবাবে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান তোলে কলকাতা।
হার্দিক পান্ডিয়ার অনুপস্থিতিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন গুজরাটের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা রশিদ খান। ওপেনিং জুটিতে ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমান গিল এনে দেন ৩৩ রানের সংগ্রহ। ১৭ রান করে সুনিল নারিনের বলে আউট হন ঋদ্ধিমান। দ্বিতীয় উইকেটে সাঈ সুদর্শনের সঙ্গে ৬৭ রানের জুটি গড়েন শুভমান। দলীয় ১০০ রানে নারিনের বলে আউট হন শুভমান (৩১)। ৩৮ বলে ৫৩ রান করা সুদর্শনও শিকার হন নারিনের।
পরেরটুকু একাই টেনে নেন বিজয় শংকর। খেলেন ২৪ বলে ৬৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। শংকরের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি চার ও ৫টি ছয়ের মারে। এতে ভর করে গুজরাট পায় ২০৪ রানের বড় সংগ্রহ। কলকাতার পক্ষে ৩ উইকেট পান সুনিল নারিন।
২০৫ রানের বড় লক্ষ্যের পিছে ছুটতে গিয়ে ২৮ রানে দুই ওপেনার রহমতউল্লাহ গুরবাজ (১৫) ও নারায়ণ জগদীশকে (৬) হারায় কলকাতা। সেখান থেকে ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও অধিনায়ক নিতিশ শর্মা মিলে গড়েন ১০০ রানের জুটি। ২৯ বলে ৪৫ রান করে দলীয় ১২৮ রানে আউট হন নিতিশ। ১৫৪ রানের সময় আলজারি জোসেপের বলে শুভমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন আইয়ারও। আউট হওয়ার আগে ৮ চার ও ৫ ছয়ে ৪০ বলে ৮৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন আইয়ার।
আইয়ারের আউটটা ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে দেয় কলকাতাকে। শেষ ওভারে কলকাতার প্রয়োজন হয় ২৯ রান। প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে রিংকু সিংকে স্ট্রাইক দেন উমেশ যাদব। তারপরের গল্পটা ছয়ের ফুলঝুরিতে নিজের মতো করে লিখেন রিংকু। ৫ বলে ৫ ছয় মেরে গুজরাটের মাঠ থেকে জয় ছিনিয়ে আনেন তিনি। ১ চার ও ৬ ছয়ে ২১ বলে ৪৮ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন রিংকু।
গুজরাটের হয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন অধিনায়কত্ব পালন করা রশিদ খান। শেষ ওভারের আগ পর্যন্ত দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন জয়ের দিকেই। কিন্তু সব এলোমেলো করে কলকাতার মুখে হাসি ফোটালো রিংকু সিংয়ের ব্যাট।