শেষ ওভারে যত নাটক
পুরো সিরিজ কেটেছে ম্যাড়ম্যাড়ে। আজ সোমবার সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেও অনেকটা সে পথেই ছিল। কিন্তু শেষ ওভারে ম্যাচে জমে উঠে। মাহমুদউল্লাহর সেই ওভারে দারুণ উত্তেজনা ছড়ায়। কিন্তু বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বাংলাদেশের আশা ভেস্তে দিলেন নেওয়াজ। পাঁচ উইকেটের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রযোজন ছিল ৮ রান। নাটকীয় সেই ওভারে তীরে এসে তরি ডুবে বাংলাদেশের।
রোমাঞ্চকর সেই শেষ ওভারে যত নাটক –
প্রথম বল : ওভারের প্রথম বলটি লেন্থ বরাবর অফ স্টাম্পের বাইরে করেন মাহমুদউল্লাহ। স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটসম্যান সরফরাজ আহমেদ কোনো রান নিতে পারেননি।
দ্বিতীয় বল : পরের বলটিও একই রকম করেন মাহমুদউল্লাহ। এবার সরফরাজ এবার হাঁটু ভেঙে স্লগ করেন। টাইমিংয়ে গড়বড় হয়। বল সোজা চলে যায় মিড উইকেটে। নাঈম ক্যাচ ধরে ফিরিয়ে দেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানকে।
তৃতীয় বল : পরের বলেই আরেকটি উইকেট তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। এবার মাহমুদউল্লাহ ফেরালেন ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া হায়দার আলীকে। তার শর্ট বল লং অন দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠাতে চেয়েছিলেন হায়দার। বল সোজা যায় নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। মাহমুদউল্লাহর হ্যাটট্রিক সম্ভাবনা জাগে।
চতুর্থ বল : তৃতীয় বলে আরেকটি উইকেট পেলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। এই বলে হয়ে যায় ছক্কা। নতুন ব্যাটসম্যান ইফতিখার বোলারের মাথার ওপর দিয়ে হাঁকালেন ছক্কা! ফলে শেষ ২ বলে সমীকরণ দাঁড়ায় ২ রান।
পঞ্চম বল : পঞ্চম বলে এখানেও ম্যাচ জমিয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ। ছক্কা মারা ইফতিখারকে ফেরালেন পঞ্চম বলে। ওয়াইডের খুব কাছাকাছি বল করলেন। বল নাগালে না পেলেও চেষ্টা করলেন ইফতিখার। ব্যাটের কোনায় লেগে বল চলে যায় ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। বদলি ফিল্ডার ইয়াসির আলী রাব্বি অতি সহজে বল তালুবন্দি করেন। শেষ ১ বলে পাকিস্তানের দরকার ২ রান।
ষষ্ঠ বল : শেষ সব সমীকরণ ভেস্তে দেন নেওয়াজ। চার হাঁকিয়ে নিশ্চিত করেন পাকিস্তানের জয়। তবে এই বলেও হয় নাটক। মাহমুদউল্লাহ বল ছাড়েন উইকেটের বেশ পেছন থেকে। এতেই অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নওয়াজ। শেষ মুহূর্তে তিনি বল না খেলে ছেড়ে দেন। বল লাগে স্টাম্পে। তবে নওয়াজ দাবি করেন ‘ডেড বল।’ আম্পায়ারও ‘ডেড বল’ সঙ্কেত দেন। মাহমুদউল্লাহ ও বাংলাদেশের ফিল্ডাররা শুরুতে একটু প্রতিবাদ করলেও পরে মেনে নেন।