শেষ টি-টোয়েন্টিতেও বড় লক্ষ্য দিতে পারল না বাংলাদেশ
ইনিংসের শুরুটা হয় হতাশা দিয়ে। ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত দুই ওভারও থিতু হতে পারেননি। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম টিকে ছিলেন ঠিকই। কিন্তু পুরোটা সময় খেলেছেন টেস্ট মেজাজে। তাঁর এমন মন্থর ব্যাটিংয়ের দিনে পাকিস্তানকে বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে মাত্র ১২৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে লাল-সবুজের দল।
আজ সোমবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৪ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন নাঈম। কিন্তু এই রান করতেই ইনিংসের প্রায় অর্ধেক বল (৫০) খেলেছেন তিনি।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এই ম্যাচেও টস জিতেছে বাংলাদেশ। বরাবরের মতো টস জিতে নিয়েছে ব্যাটিং। কিন্তু ওপেনিংয়ে এবারও সাফল্য পেল না স্বাগতিকরা।
আজ ওপেনিংয়ে নাঈমের সঙ্গে সুযোগ পেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু এতেও সাফল্য মেলেনি। পাকিস্তান একাদশে অভিষেক হওয়া শাহনওয়াজ দাহানির প্রথম ওভারেই আউট হয়ে যান শান্ত। দাহানির করা ফুল লেংথের বলে ফ্লিক করার চেষ্টা করেন শান্ত। কিন্তু ব্যালেন্স হারিয়ে লাইন মিস করে ফেলেন। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল চলে যায় স্টাম্পে। ৫ বলে ৫ করে ফেরেন এই ব্যাটার। দলীয় ৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে বাংলাদেশ। নাঈম ও শামীম হোসেন মিলে ওই জুটিতে তোলেন ৩০ রান। কিন্তু পাওয়ার প্লে শেষেই বোলিংয়ে এসে সেই জুটি ভেঙে দেন উসমান কাদির। বোলিংয়ে এসেই শামীমকে আউট করেন এই লেগ স্পিনার।
সপ্তম ওভারে কাদিরের বলে ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন শামীম। কিন্তু টাইমিং ঠিক ছিল না। বল উপরে উঠে যায়, সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান ইফতেখার আহমেদ। ২৩ বলে চারটি বাউন্ডারিতে ২২ রান করেন শামীম। দলীয় ৩৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
শামীম ফিরলে লড়াই জমান কিছুটা আফিফ হোসেন। নাঈমের সঙ্গে গড়েন ৪৩ রানের জুটি। এটিই আজকের সর্বোচ্চ জুটি। ১৫তম ওভারে ওই জুটিও ভাঙেন কাদির। ২০ রান করা আফিফকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান তিনি। এরপর শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে ১২৪ রানের পুঁজি পেতে সাহায্য করেন ওপেনার নাঈম। ওপেনিংয়ে নেমে প্রায় শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলেও তাঁর ব্যাটিং ছিল অস্বস্তির। টি-টোয়েন্টির খেলায় তিনি ছিলেন টেস্ট মেজাজে। ৫০ বলে করেছেন ৪৭ রান। যার মধ্যে ছিল দুটি করে বাউন্ডারি ও ছক্কা। তাঁর ৫০ বলের ইনিংসে ২২টিই ছিল ডট বল। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ করেন ১৩ রান, মেহেদী করেন ৫ ও নুরুল হাসান করেন ৪ রান।
পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে ৩৫ রান দিয়ে দুটি নেন উসমান কাদির। ১৫ রান খরচায় সমান দুটি উইকেট নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। সমান একটি করে নেনে দাহানি ও হারিস রউফ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১২৪/৭ (নাঈম ৪৭, শান্ত ৫, শামীম ২২, আফিফ ২০, মাহমুদউল্লাহ ১৩, সোহান ৪, মেহেদী ৫, আমিনুল ৩; দাহানি ৩-০-২৪-১, ওয়াসিম জুনিয়র ৪-০-১৫-২, রউফ ৪-০-০০-১, কাদির ৪-০-৩৫-২)।