বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন একাধারে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সংসদ সদস্য, একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ক্রীড়া সংগঠক। কীভাবে এত দায়িত্ব সামলান পাপন। এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো তিনিই দিতে পারবেন। তবে, ক্রিকেট নিয়ে এত ব্যস্ততার কারণে পরিবারকে সময় দিতে না পারার আক্ষেপ পাপনের কণ্ঠে।

আজ শনিবার (২০ মে) ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচনে প্রধান অতিথি হিসেবে পাপন বলেন, ‘আমি অনেকগুলো জিনিসের সঙ্গে জড়িত, আপনারা সবাই জানেন। কিন্তু ক্রিকেটই আমার সব সময় নিয়ে নিচ্ছে। এত সময় দেওয়াটা খুব কঠিন। আমার সবাই এখন অভিযোগ শুরু করেছে, পরিবার থেকে তো একটা ধৈর্যের সীমা আছে। এখন তো আর তারা কথাই বলে না বলতে গেলে।’

পাপন আরও বলেন, ‘কোনো একটা অনুষ্ঠান হলে যদি জিজ্ঞেস করে পাপন ভাই যাবে তো? আমার স্ত্রী সরাসরি বলে দেয়, আমি জানি না। ওকে ছাড়াই চিন্তা করেন। এ হলো অবস্থা আমার। ক্রিকেট অনেক বেশি সময় নিয়ে নিচ্ছে। এ সমস্ত জায়গায় অনেক সময়ও দিতে হয়। এ রকম একটা সংগঠন চালাতে গেলে সময় না দিলে খুব কঠিন।’

পাপন বলেন, ‘আমাকে সবাই খুব মিশুক মানুষ বলেই জানত। ক্রিকেটে আসছি বলে (সবাই) ভাবে আমি রাগী। আচ্ছা, আমি রাগী হলাম কবে? সবাই মনে করে আমি খুব রাগী। সেদিন একটি অনুষ্ঠানে গেলাম, সবার খুব অনুরোধ। একটা পারিবারিক অনুষ্ঠান। সব দেখি আমার থেকে দূরে দাঁড়িয়ে থাকে, বসে। আমি বললাম কী ব্যাপার, আমার আশপাশে সব চেয়ার খালি; আপনারা এখানে আসেন। পরে যখন অনুষ্ঠান শেষে বের হব, তখন সবাই বলছিল, আমরা ভয় পাচ্ছিলাম! আপনি অনেক রাগী। আচ্ছা, আমাকে রাগী মনে হবে কেন বলুন তো? আমি তো সবার সঙ্গে খুব ক্লোজলি মিশি।’

শেরে বাংলায় কোয়াবের এজিএম ও কাউন্সিলে বিসিবি সভাপতিকে সম্মাননা দেওয়া হয়। সংগঠনটির ফের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন দেবব্রত পাল।