সমালোচনা স্পর্শ করে না লিটনকে
খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই ইনিংস বড় করতে পারছিলেন না বলে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হয়েছিলেন লিটন দাস। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে সমালোচনাই ছিল তাঁর নিত্য সঙ্গী। তা এখন অতীত। সে সব সমালোচনাকে দূরে ঠেলে লাল বলের ক্রিকেটে রীতিমতো উড়ছেন লিটন।
সাদা পোশাকে টানা পারফর্ম করে আসা লিটনকে এখন আর কোনো সমালোচনাই স্পর্শ করে না। শুধু নিজের কাজেই এখন মনোযোগী ডানহাতি এই ব্যাটার।
টেস্ট ক্রিকেটে সময়টা স্বপ্নের মতো কাটছে লিটনের। মাঠে নামলেই তিনি বড় ইনিংস খেলবেন এটাই যেন রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এইতো ঘরের মাঠে চলমান ঢাকা টেস্টেও দলের বিপর্যয়ে আশার আলো দেখিয়েছেন লিটন।
ঢাকা টেস্টে ব্যাট হাতে যখন উইকেটে নেমেছিলেন লিটন, তখন বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডের অবস্থা ছিল ভয়ংকর। ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। কিন্তু এত চাপের আঁচ নিজের ব্যাটিংয়ে মোটেই লাগতেই দিলেন না লিটন। নান্দনিক সব বাউন্ডারিতে নিজের ছন্দে ছুটলেন তিনি। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে রেকর্ড জুটি বাধার পর শেষ পর্যন্ত খেললেন ১৪১ রানের চমৎকার ইনিংস। ৩৮৫ মিনিটের এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৬ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায়।
আজ মঙ্গলবার টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে ঘুরেফিরে সবার মুখে প্রশংসা রটল লিটনকে নিয়ে। প্রসঙ্গ আসল ফেলে আসা অতীত নিয়েও। তখন সোজাসাপ্টা উত্তরে লিটন বললেন, ‘আসলে ভালো খেললে মানুষ বাহ বাহ দেবে, আবার খারাপ খেললেও সমালোচনা হবে। কারণ তাঁরা চায় আমি সবসময় পারফর্ম করি। এসব এখন আর আমাকে স্পর্শ করে না। আমি নিজের কাজে, নিজের অনুশীলনে মনোযোগ দিচ্ছি। আমার চেষ্টায় ঘাটতি থাকলে খারাপ লাগে। আমি শুধু আমার কাজটা করছি, ফল স্রষ্টার হাতে।’
ক্যারিয়ারের উত্থান-পতন নিয়ে এই বাংলাদেশি ক্রিকেটরার বলেন, ‘মানুষ যখন ব্যর্থ হয়, তখন মানুষসিকভাবে শক্ত হওয়ার দরকার পড়ে। আপনি ব্যর্থ না হলে বুঝবেন না, আপনার মানসিক অবস্থা কোন দিকে যাচ্ছে। আমার ক্ষেত্রেও হয়তো সেটা কাজ করেছে।’