সাকিবই টেস্ট দলের অধিনায়ক
ব্যর্থতার চাপে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন মুমিনুল হক। তাঁর নেতৃত্ব ছাড়ার একদিনের মাথায় নতুন অধিনায়ক পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টেস্ট দলের নতুন অধিনায়ক হলেন সাকিব আল হাসান।
আজ বৃহস্পতিবার বিসিবির বৈঠকে সাকিবকে নতুন অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে সাকিব আল হাসানের ওপর আইসিসি নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর হঠাৎ করেই নেতৃত্বের ভার আসে মুমিনুলের ওপর। কিন্তু নেতৃত্বের দায়িত্ব পাওয়ার পর নিজের ব্যাটিংই ভুলতে বসেছিলেন মুমিনুল।
দায়িত্বের চাপে হাসছিল না মুমিনুলের ব্যাট। অধিনায়ক হিসেবে ১৭ ম্যাচে মুমিনুল করেন মাত্র ৯১২ রান। এই সময়ে তাঁর ব্যাটিং গড় ৩১.৪৪। পেয়েছেন মাত্র ৩ সেঞ্চুরি। অথচ অধিনায়কত্বের আগে ৩৬ টেস্টে ৪১.৪৭ গড়ে মুমিনুল রান করেছেন ২৬১৩। তখন সেঞ্চুরিও ছিল ৮টি।
সাম্প্রতিক সময়ে মুমিনুলের ব্যাট বেশি নিষ্প্রভ ছিল। শেষ ১০ ইনিংসে মুমিনুল করেন মাত্র ৭৪ রান। এর মধ্যে ৮ ইনিংসেই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। মেরেছেন ডাক মেরেছেন তিনটি। সবমিলিয়ে চাপে পড়ে গত ৩১ মে টেস্ট অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন মুমিনুল।
মুমিনুলের বিদায়ের পর এবার তৃতীয় মেয়াদে টেস্টের নেতৃত্বে আসলেন সাকিব।
সাকিবের নেতৃত্বে এর আগেও টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তখনকার অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা চোটে পড়লে নেতৃতের ভার দেওয়া হয় সাকিবকে। সেই দায়িত্ব ২০১১ সালে হারান সাকিব। নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান মুশফিক। এরপর মুশফিকের থেকে দ্বিতীয়বার ২০১৮ সালে টেস্ট নেতৃত্ব পান সাকিব। কিন্তু সেটা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। পরের বছরই আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে নেতৃত্ব হারান সাকিব। এবার তৃতীয় মেয়াদে সাদা পোশাকে বাংলাদেশের দায়িত্ব বুঝে নিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
সাকিব আল হাসানের অধীনে বিভিন্ন দফায় ১৪টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে তিন ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ, হার মিলেছে ১১ ম্যাচে। এবার নতুন মেয়াদে নেতা সাকিব কেমন করেন সেটাই দেখার।