সাকিব-বীরত্বে এক যুগ পর জিম্বাবুয়েতে সিরিজ জয়ের সাফল্য
লক্ষ্য খুব একটা বড় নয়। জিততে হলে চাই ২৪১ রান। এই রান তাড়ায় সতর্ক শুরু করেছিল বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস ভালোভাবেই এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। কিছুক্ষণ পর তামিম সাজঘরে ফিরলে সে ধারাবাহিকতায় বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এক পর্যায়ে মনে হয়েছিল হারতে পারে লাল-সবুজের দল। এই বিপর্যয় থেকে অনেকটা একা দলকে এগিয়ে নিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন সাকিব আল হাসান।
আজ রোববার হারারেতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জিতেছে তিন উইকেটে। সাকিব আল হাসানের চমৎকার ব্যাটিং দৃঢ়তায় দীর্ঘদিন পর জিম্বাবুয়ের মাটিতে সিরিজ জয়ের সাফল্য পায় বাংলাদেশ।
প্রায় এক যুগ পর জিম্বাবুয়ের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের মাটিতে শেষ সিরিজ জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এর পর ২০১১ ও ২০১৩ সালে হেরেছিল।
এদিন বাংলাদেশের জয়ে জয়ে মূল অবদান রেখেছেন সাকিব। মাঝখানে বেশ কয়েকটি ম্যাচ ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তাই কড়া সমালোচনা শুনতে হয় তাঁকে। এবার ব্যাট হাতে এর জবাব দিয়েছেন দারুণ একটি ইনিংস খেলে। ১০৯ বলে ৯৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। তাঁর ইনিংসে আটটি চারের মার ছিল।
অবশ্য এদিন সাকিব ছাড়া অন্যরা একরকম ব্যর্থ হয়েছেন। তামিম আউট হয়েছেন ৩৪ বলে ২০ রান করে। আর লিটন ৩৩ বলে ২১ ও মিঠুন ৩ বলে ২ রান করে আউট হন। সৈকত আউট হয়েছেন ৯ বলে মাত্র ৫ রান করে।
মাহমুদউল্লাহ ৩৫ বলে ২৬ ও সাইফউদ্দিন ৩৪ বলে ২৮ রান করে সাকিবকে কিছুটা সহায়তা দিয়ে দলের জয়ে অবদান রাখেন।
এর আগে জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান এসেছে ওয়েসলি মাধেভেরে ব্যাট থেকে। এছাড়া অবদান রেখেছেন ব্রেন্ডন টেলর (৪৬), ডিয়ন মায়ার্স (৩৪), সিকান্দার রাজা (৩০) ও রেগিস চাকাভা (২৬)।
মুস্তাফিজুর রহমানের চোটে এই ম্যাচেও সুযোগ পাওয়া শরিফুল ইসলাম ৪ উইকেট নেন ৪৬ রানে। আগের ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়া সাকিব ২ উইকেট নেন ৪২ রানে। দারুণ বোলিংয়ে ৩৮ রানে তাসকিন আহমেদের শিকার একটি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ জয় পায় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে ১৫৫ রানের বড় ব্যবধানে হারায় লাল-সবুজের দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে : ৫০ ওভারে ২৪০/৯ (কামুনহুকামউই ১, মারুমানি ১৩, চাকাভা ২৬, টেইলর ৪৬, মায়ার্স ৩৪, মাধেভেরে ৫৬, রাজা ৩০, জঙ্গুয়ে ৮, মুজারাবানি ০, চাতারা ৪*, এনগারভা ৭*; তাসকিন ১০-০-৩৮-১, সাইফ ১০-০-৫৪-১, মিরাজ ৭.২-০-৩৪-১, শরিফুল ১০-০-৪৬-৪, সাকিব ১০-০-৪২-২, সৈকত ১.৪-০-৭-০, আফিফ ১-০-১১-০)।
বাংলাদেশ : ৪৯.১ ওভারে ২৪২/৭ (তামিম ২০, লিটন ২১, সাকিব ৯৬*, মিঠুন ২, মোসাদ্দেক ৫, মাহমুদউল্লাহ ২৬, মিরাজ ৬, আফিফ ১৫, সাইফ ২৮*; মুজারাবানি ৯.১-১-৩১-১, চাতারা ৭-১-৫২-০, জঙ্গুয়ে ৮-০-৪৬-২, এনগারাভা ৯-১-৩৩-১, মাধেভেরে ১০-০-৩৯-১, রাজা ৬-০-৩৩-১)।
ফল : বাংলাদেশ তিন উইকেটে জয়ী।