সাকিব-হৃদয়ের ব্যাটে রেকর্ড সংগ্রহ বাংলাদেশের
শক্তি, নামে-ভারে, পরিসংখ্যানে সবকিছুতেই এগিয়ে বাংলাদেশ। ফেভারিট হিসেবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নেমেছে তামিমের দল। সিলেটে প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সাকিব-হৃদয়দের ব্যাটিং দৃঢতায় আইরিশদের বড় সংগ্রহ ছুঁড়ে দিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
আজ শনিবার (১৮ মার্চ) তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করে সাকিব-হৃদয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ডে ৩৩৮ রান তুলে তামিমের দল। যা ওডিআইতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড।
ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দুই ওপেনার তামিম-লিটন। যদিও দলীয় ১৫ রানের মাথায় উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফেরেন অধিনায়ক তামিম। ৯ বলে ৩ রান করে মার্ক অ্যাডাইর এর শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
এরপর লিটনের সঙ্গে জুটি গড়েন আরেক টপঅর্ডার নাজমুল হোসেন শান্ত। ৩৪ রানের জুটি গড়ে দলীয় ৪৯ রানের মাথায় ফিরে যান ওপেনার লিটন। ক্যাম্পারের ব্যাক অফ লেন্থের বলে শর্ট কাভারে স্টার্লিংকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। ৩১ বলে ২৬ রান করে আউট হন এই ডানহাতি ব্যাটার।
এরপর সাকিবকে নিয়ে জুটি গড়েন শান্ত। তবে লিটনের বিদায়ের পর শান্তও বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। দলীয় ৮১ রানে ম্যাকব্রাইনের বলে বোল্ড আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৩৪ বলে ২৫ রান করেন শান্ত।
শান্তর বিদায়ের পর নবাগত তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে ১৩৫ রানের জুটি গড়ে তোলেন সাকিব। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটেই মূলত বড় স্কোরের ভিত পায় স্বাগতিকরা। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৩তম ফিফটি তুলে দলীয় ২১৬ রানে ব্যক্তিগত ৯৩ রানে আউট হন সাকিব। ৭ রানের জন্য ওয়ানডেতে নিজের দশম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন না সাকিব।
সাকিবের বিদায়ের পর মুশফিককে নিয়ে নতুন করে জুটি গড়েন হৃদয়। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৮০ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান। দলীয় ২৯৬ রানে ৪৪ রান করে বিদায় নেন মুশফিক। তার বিদায়ের পর টিকতে পারেননি তৌহিদ হৃদয়ও। ব্যক্তিগত ৯২ রানে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন হৃদয়।
শেষপর্যন্ত লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের প্রচেষ্টায় স্কোরবোর্ডে ৩৩৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন গ্রাহাম হিউম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ৩৩৮/৮ (তামিম ৩, লিটন ২৬, শান্ত ২৫, সাকিব ৯৩, হৃদয় ৯২, মুশফিকুর ৪৪, ইয়াসির ১৭, তাসকিন ১১, নাসুম ১১*, মুস্তাফিজ ১*; অ্যাডাইর ১০-০-৭৭-১, হিউম ১০-০-৬০-৪, ম্যাকব্রাইন ১০-০-৪৭-১, ক্যাম্পার ৮-০-৫৬-১, ট্রেক্টর ৬-০-৪৫-০, ডেলানি ৬-০-৫০-০)