সেঞ্চুরিতে কিংবদন্তিদের পাশে মুমিনুল
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আরেকবার সেঞ্চুরির রূপকথা লিখলেন মুমিনুল হক। সাগরিকায় এই সেঞ্চুরিতে মুমিনুল ছাড়িয়ে গেলেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে। বাংলাদেশের হয়ে সর্বাধিক টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক এখন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। এ ছাড়া কিংবদন্তিদের পাশে নিজের নাম বসালেন মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যান। আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মুমিনুল খেলেছেন ১১৫ রানের ইনিংস।
চট্টগ্রামের মাটিতে মুমিনুল হকের হাফসেঞ্চুরি মানেই যেন সেঞ্চুরি। এবারও সেটার ব্যতিক্রম হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে শতক হাঁকিয়েছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরির সংখ্যায় দুই অঙ্ক ছুঁতে পারলেন মুমিনুল। ৯টি সেঞ্চুরি নিয়ে এতদিন তামিম ইকবালের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন তিনি। এবার ছাড়িয়ে গেলেন দেশসেরা ওপেনারকে। টেস্টে মুমিনুল হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান। তামিম নেমে গেলেন দ্বিতীয় স্থানে।
এখানেই শেষ নয়, মুমিনুল করেছেন আরেকটি রেকর্ড। চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনে ক্রিকেটের কিংবদন্তিদের একটি তালিকায় নিজের নাম লিখিয়েছেন তিনি। তালিকাটি হলো একই মাঠে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির। এ নিয়ে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সাতটি সেঞ্চুরি করলেন মুমিনুল। অবশ্য কিংবদন্তিদের পাশে বসেছিলেন আরো আগেই। এবার উঠলেন আরেকটু উঁচুতে। একই মাঠে ছয় সেঞ্চুরি এর আগে মুমিনুল ছাড়াও আরো পাঁচ ব্যাটসম্যান করেছিলেন। তাঁরা হলেন—মাইকেল ভন, রস টেলর, রিকি পন্টিং, ম্যাথু হেইডেন ও গ্রাহাম গুচ। সেখান থেকে একটু আগালেন মুমিনুল। রিকি পন্টিং-হেইডেনদের ছাড়িয়ে বসে গেলেন মাইকেল ক্লার্ক, কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনের পাশে।
অসি ক্রিকেটার ক্লার্ক এক মাঠে সর্বাধিক সাতটি সেঞ্চুরি করেছেন। ভেন্যুটি হলো অ্যাডিলেড ওভাল। দুই লঙ্কান তারকা সাঙ্গাকারা ও মাহেলাও একই মাঠে করেছেন সাতটি করে সেঞ্চুরি। ভেন্যুটি হলো গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। এবার সাতটি সেঞ্চুরি করে তাঁদের পাশে বসলেন মুমিনুল।
স্বাগরিকায় প্রথম ছয়বারের হাফসেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পেরেছেন মুমিনুল। শুধু সবশেষ টেস্টে পারেননি। এবার ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে সেই হতাশাকে দূর করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। রাকিম কর্নওয়ালের করা বল কাভার অঞ্চলে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন মুমিনুল। তিন অঙ্কের ঘরে যেতে মুমিনুল খেলেছেন ১৭৩টি বল, যাতে ছিল ৯টি বাউন্ডারি। শেষ পর্যন্ত ১১৫ রানে থেমেছেন তিনি। ১৮২ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০ বাউন্ডারি দিয়ে।