সেঞ্চুরি করা বাটলারের উইকেটই পেলেন মুস্তাফিজ
বল ফেলার যেন জায়গা খুঁজে পেলেন না দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলাররা। কখনও মাটি কামড়ে, আবার কখনও হাওয়ায় ভাসিয়ে একের পর এক বাউন্ডারির বাইরে বল পাঠালেন জস বাটলার। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে আইপিএলে আরেকটি সেঞ্চুরি তুলে নিলেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শুক্রবার রাজস্থান রয়্যালসের ষোড়শ ওভারে ৯৯ থেকে ডাবল নিয়ে বাটলার তিন অঙ্কে পা রাখেন মাত্র ৫৭ বলে। ৮টি ছক্কার সঙ্গে চারও ৮টি। টানা দ্বিতীয় এবং চলতি আসরে তার তৃতীয় সেঞ্চুরি এটি।
আইপিএলের এক আসরে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল বিরাট কোহলির। ২০১৬ সালের আসরে রেকর্ড ৯৭৩ রান করার পথে কোহলি চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের হয়ে।
এদিন দিল্লির বোলারদের মেরে রীতিমতো তুলোধুনো করেছেন বাটলার। বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান খেলেন দিল্লি ক্যাপিটালসে, তিনিও বাদ যাননি। তবে দলের বাকি বোলারদের তুলনায় মুস্তাফিজই কিছুটা ভালো বোলিং করেছেন। শেষে তো পেয়েছেন সেই বাটলারের উইকেটও।
তাতে যে রাজস্থানের রান কিছুটা হলেও কমেছে, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। শেষ অবধিও অবশ্য কম রান তুলেনি তারা। এবারের আসরে বাটলারের তৃতীয় সেঞ্চুরির ম্যাচে ২২২ রান করেছে রাজস্থান। বাটলার এই সেঞ্চুরিতে কীর্তি গড়েছেন আরও একটি। আইপিএল ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আট ইনিংসের ভেতর তিনি পেলেন চতুর্থ সেঞ্চুরি।
অথচ প্রথম ওভারে বাটলারকে বেশ ভুগতেই দেখা গিয়েছিল। খলিল আহমেদের আউট সুইং বুঝে উঠতে পারছিলেন না। যদিও ওই ওভারে দুটো বাউন্ডারি পেয়ে গিয়েছিলেন সৌভাগ্যক্রমে। এরপর যতই সময় গেল, বাটলার হয়ে উঠলেন ভয়ঙ্কর।
অনেকটা বেসবলের মতো করেও বলকে সীমানা ছাড়া করেছেন। বাংলাদেশের মুস্তাফিজ রান দিয়েছেন বটে, তবে দিল্লির দিনের সেরা বোলার তিনিই ছিলেন। ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। রাজস্থানের যে দুই উইকেট গেছে, তার আরেকটা পাওয়া খলিল আহমেদ ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪৭ রান।