হতাশার বোলিংয়ে ভুগছে বাংলাদেশ
হতাশার ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানকে বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি বাংলাদেশ। জিততে হলে স্রেফ ১২৮ রান করতে হবে পাকিস্তানকে। এই রান করতে নেমে ভালো শুরু করেছে বাবর আজমের দল।
পাকিস্তানের দুই ওপেনারের প্রতিরোধ ভাঙতে লম্বা সময় লড়াই করেছেন বাংলাদেশি বোলাররা। শুরুতে তাসকিন সুযোগ তৈরি করলেও সেটা মিস করে বাংলাদেশকে হতাশ করেন কিপার নুরুল হাসান সোহান। শেষ পর্যন্ত সাফল্য এনে দেন নাসুম আহমেদ। ২৫ রান করা বাবর আজমকে ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর ইবাদত তুলে নেন ৩২ রান করা রিজওয়ানকে। জোড়া উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ।
এর আগে ইতিহাস গড়ার হাতছানির ম্যাচে বাংলাদেশি ব্যাটাররা উইকেটে দেখালেন তাড়াহুড়ো। নাজমুল হোসেন শান্ত টিকে থাকলেও তেমন কার্যকারী ইনিংস খেলতে পারেননি। মাঝে সাকিব আল হাসানের আউট নিয়ে হয়ে যায় বিতর্কিত ঘটনা। ফলে সেমিফাইনালের পথে বড় সংগ্রহ পেল না সাকিব আল হাসানের দল।
আজ রোববার পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১২৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৪৮ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল সাতটি বাউন্ডারি।
অ্যাডিলেড ওভালে টস জিতে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরুর আভাস দেন দুই ওপেনার শান্ত ও লিটন দাস। কিন্তু আভাস দিয়েও জুটি বড় করতে পারলেন না। ২১ রানে ভাঙে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে শান মাসুদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন (১০)।
লিটনকে হারানোর চাপ সৌম্যকে নিয়ে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন শান্ত। এই জুটি থিতু হয়ে যায়। দুজনে মিলে খেলেন ৪৭ বল। কিন্তু রান তোলায় দুজনেই ছিলেন মন্থর। হারিস রউফ-নাসিম শাহদের বোলিং দাপটে উইকেটে ভুগছিলেন দুজন। এর মধ্যে ২০ রান করে বিদায় নেন সৌম্য। ১১তম ওভারে ভাঙে বাংলাদেশের দ্বিতীয় জুটি।
এরপর উইকেটে আসা সাকিবের সঙ্গে যা হলো সেটা ছিল অবিশ্বাস্যকর। আম্পায়ারের বিস্ময়কর বাজে সিদ্ধান্তে এলবি দেওয়া হয় সাকিবকে। শাদাব খানের বলে সাকিবের প্রথম বল মোকাবিলাতেই আউট দেন আম্পায়ার। আত্মবিশ্বাসী সাকিব রিভিউ নিতে দেরি করেননি। শান্তকে জানান, তাঁর ব্যাটে লেগেছে বল। টিভি রিপ্লেতেও ব্যাটে-বলের স্পর্শ দেখা যায়। কিন্তু আম্পায়ার সেটা আমলে নিলেন না। তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছেন। হতাশ হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় বাংলাদেশ অধিনায়ক। দলীয় ৭৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর বাকিরাও আশা দেখাতে পারেননি। হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে উইকেটে ভালো কিছু করার আভাস দেন শান্ত। কিন্তু থিতু হয়ে যাওয়া ব্যাটার কিছুই করতে পারেননি। ৪৮ বলে ৫৪ রান করে বিদায় নেন শান্ত। এরপর শুধু হতাশাই দেখেছে বাংলাদেশ। একে একে সাজঘরের পথে হাঁটেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত-নুরুল হাসান সোহানরা। এত উইকেট হারানোর মিছিলে বেশিদূর যেতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত থামে অল্প রানে।