ম্যাচ শেষে কথা বলতে এসে সাকিব আল হাসান হাসছেন। হর্ষ ভোগলের প্রশ্ন শুনে হাসিমুখে উত্তর দিচ্ছেন। যদিও হাসির আড়ালে ছিল হতাশার গল্প। কারণ ভারতের বিপক্ষে আরও এক সম্ভাবনা জাগিয়েও হারল বাংলাদেশ।

ভারতের বিপক্ষে বারবার কাছে এসেও পাওয়া হয় না কাঙ্খিত জয়ের দেখা। ব্যাপারটা অনেকটা হাসির ছলেই বললেন অধিনায়ক, ‘ভারতের সঙ্গে যখনই বাংলাদেশ খেলে, নাটকীয়তায় ভরা থাকে ম্যাচ। আমরা খুব কাছাকাছি গিয়েছি, শেষ করতে পারিনি। দর্শকরা এমন ম্যাচই চান। তারা উপভোগ করেছেন, দুই দলের খেলোয়াড়েরা উপভোগ করেছে। শেষ পর্যন্ত এক দল জিতবে, আরেক দল হারবে, এটিই স্বাভাবিক।’

আসরে প্রথমবার ওপেন করতে নামেন লিটন দাস। প্রত্যাশার ষোলোকলা পূর্ণ করে এনে দেন ঝোড়ো শুরু। লিটনের প্রশংসায় কার্পণ্য নেই অধিনায়কের, ‘লিটন যেভাবে শুরু করেছে, আমরা বিশ্বাস করি, আমরা পারব। ও চমৎকার ব্যাটিং করেছে। এই মুহূর্তে আমাদের সেরা ব্যাটার সে।’

অ্যাডিলেডে টস জিতে বোলিং নেন সাকিব। ভারতের সেরা ব্যাটিংয়ের সামনে টাইগার অধিনায়ক আস্থা রাখেন তাসকিনের ওপর। তাসকিনও প্রতিদান দিয়েছেন ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে। সাকিব বলেন, ‘এই বিশ্বকাপে প্রতি ম্যাচে তাসকিন আমাদের দারুণ শুরু এনে দিয়েছে। ভাগ্য সহায় ছিল না, তাই আজ উইকেট পায়নি। উইকেট না পেলেও বেশ হিসাবি বোলিং করেছে সে। আমাদের মূল অস্ত্র তাসকিনই।’

এই ম্যাচ জিতলে বিশ্বকাপে টিকে থাকাটা জোরদার হতো বাংলাদেশের। জয় থেকে মাত্র ৫ রান দূরে থেমে যাওয়ায় হয়নি তা। সাকিব অবশ্য হতাশ নন। বলছেন, ‘আমাদের হাতে আরও একটি ম্যাচ আছে। আমরা উপভোগ করছি বিশ্বকাপ। উপভোগ করে যেতে চাই।’