হার্নান্দেজের গোলে ফাইনালের পথে ফ্রান্স
জিতলেই টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনাল। হারলে বিদায়। এমন সমীকরণের ম্যাচে মরক্কোর বিপক্ষে শুরুতেই ফ্রান্সকে এগিয়ে নিলেন হার্নান্দেজ। তাঁর গোলে চড়ে প্রথমার্ধে ফাইনালের পথে এক পা বাড়িয়ে রাখল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে চেপে ধরতে প্রস্তুত মরক্কো।
কাতারের আল বাইত স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স এবং চলতি বিশ্বকাপের বিস্ময় মরক্কো। সেমিফাইনালে নেমেই ইতিহাস গড়েছে মরক্কো। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম কোনো আফ্রিকান দেশ শেষ চারের মঞ্চে। কিন্তু শুরুতেই মলিন হয় অর্জন। পঞ্চম মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। এরপর অবশ্য গোল হয়নি আর। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ফরাসিরা।
আজকের ম্যাচের আগ পর্যন্ত মরক্কোর জালে বল পাঠাতে পারেনি কোনো দলই। সেই ডেডলক ভাঙতে ফ্রান্স সময় নেয় মাত্র ৫ মিনিট। দুর্দান্ত এক শারীরিক শৈলীর মাধ্যমে গোল করেন ফরাসি মিডফিল্ডার থিও হার্নান্দেজ। ষষ্ঠ ম্যাচে এসে প্রথম গোল হজম করেন মরক্কান গোলরক্ষক বনো। গোল করে আরও আগ্রাসী হয় ফ্রান্স। ১৭ মিনিটে অলিভিয়ের জিরুদের শট বারপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ৩৫ মিনিটে এমবাপ্পে জিরুদের যৌথ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। আরও কয়েকটি আক্রমণ শানালেও এরপর আর ভাঙতে পারেনি মরক্কোর রক্ষণ।
২০ মিনিটে চোটের কারণে মাঠ ছাড়েন মরক্কো অধিনায়ক রোমান সাইস। গোল খেয়ে মরক্কো যেন জেগে ওঠে। নিজেদের রক্ষণ সামলে বারবার আক্রমণে ওঠে তারা। মরক্কান তারকা আজ্জেদিন ওউনারির দারুণ এক শট চমৎকারভাবে সেভ করেন ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিস। ৪৪ মিনিটে কর্ণার থেকে বাইকেল কিকে গোল প্রায় পেয়েই বসেছিল মরক্কো। জাওয়াদ আল ইয়ামিকের কিক লরিসকে পরাস্ত করলেও বারে আটকা পড়ে। প্রথমার্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবলের প্রদর্শনী দেখিয়েছে দুই দলই। জমাটি দ্বিতীয়ার্ধের অপেক্ষায় ফুটবলভক্তরা। ফ্রান্সকে ছেড়ে কথা বলবে না মরক্কো, তা বোঝা গেছে প্রথমার্ধে।