১৫ কোটি রুপিতে কত ডলার, জানতেন না জেমিসন
মাত্র ৭৫ লাখ রুপিতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নিলামে নাম লিখিয়েছিলেন কাইল জেমিসন। সেখান থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে শেষ পর্যন্ত ১৫ কোটি রুপিতে গিয়ে থামে নিউজিল্যান্ড পেসারের মূল্য। যা আইপিএলের নিলামে চতুর্থ সর্বোচ্চ মূল্য। অথচ এই ১৫ কোটি রুপিতে কত ডলার হয় সেটাই জানতেন না জেমিসন। যখন শুনলেন, তখন চোখেমুখে শুধু বিস্ময়ই ছিল এই পেসারের।
ছয় ফুট আট ইঞ্চি লম্বা পেসারকে এই চওড়া মূল্য দিয়ে কিনেছে বিরাট কোহলির দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আইপিএলের অন্যতম দামি ক্রিকেটার হিসেবে প্রথমবার ভারতের লিগটি খেলতে যাবেন এই কিউই পেসার।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে মাত্র চারটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা জেমিসন নিজের এই নতুন অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন সংবাদ মাধ্যমে।
হিন্দু টাইমসের খবর অনুযায়ী, নিউজিল্যান্ডের একটি সংবাদমাধ্যমকে জেমিসন বলেন, ‘আসলে এর অনুভূতি অবিশ্বাস্য। ভেবেছিলাম রাতে ঘুমিয়ে যাব। কিন্তু মাঝরাতের দিকে উঠে বসি ও ফোন দেখি। জীবনে আর কখনো এমন হবে কি না জানি না! তাই মনে এলো, পরিস্থিতি এড়িয়ে যাওয়ার চেয়ে আলিঙ্গন করি ও উপভোগ করি। ওই ঘণ্টাদেড়েক সময়, নিশ্চিতভাবেই ছিল অদ্ভুত। আমার নিলাম যখন চলছে, শেন বন্ড (নিউ জিল্যান্ডে বোলিং গ্রেট ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বোলিং কোচ) আমাকে ম্যাসেজ পাঠায়, ‘এটা (মূল্য) কতটা ভালো হলো?’ আমার আসলে জানা ছিল না, ১৫ কোটি রুপি নিউজিল্যান্ড ডলারে কত হয়। এখনও চেষ্টা করছি ব্যাপারটি হজম করার।’
জেমিসন আরো বলেন, ‘প্রথমে আমার সঙ্গিনী এমাকে ফোন করি। ও ঘুমাচ্ছিল। ঘুম ভাঙিয়ে খবর দেই। তার পর বাবা-মাকে ফোন করি, তারা জেগেই ছিলেন।’
তবে নিজের প্রথম আইপিএলেই এই চড়া মূল্যের চাপ কাটিয়ে আলো ছড়াতে চান জেমিসন, ‘এটা খুব বদল আনেনি আমার মধ্যে। জানি খুব প্রত্যাশা থাকবে। তবে সেটা তো সবসময়ই থাকে। প্রথম ওয়ানডে, প্রথম টেস্ট, বিভিন্ন সিরিজে, সবসময়ই প্রত্যাশার চাপ থাকে। আমার নিজের ভেতরের চেয়ে হয়তো বাইরের চাপ বেশি থাকবে। আমার জন্য ব্যাপারটি হলো কীভাবে আমি শিখতে পারি, নিজেকে গড়তে পারি, দলের প্রয়োজনের সময় কাজটুকু কতটা করতে পারি।’