১৫ হাজার রান করতে কত বল খেললেন তামিম?
বাংলাদেশের ক্রিকেটে তামিম ইকবাল এক অবিচ্ছেদ্য নাম। দেড় দশকেও ওপেনিংয়ে তার মতো কাউকে পায়নি বাংলাদেশ। একের পর এক রেকর্ড গড়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। একসময় দশ হাজার রান করা ছিল যার স্বপ্ন, সেই মানুষটির নামের পাশে এখন ১৫ হাজার রান।
প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্পর্শ করলেন ১৫ হাজার রান। আজ সোমবার (২০ মার্চ) তার জন্মদিন। জন্মদিনে এমন অর্জন দেশসেরা ওপেনারের জন্য বিশেষ কিছু।
জন্মদিনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখার সুযোগ ছিল তামিমের। তবে, রান আউটের ফাঁদে পড়ে সেই আশা পূরণ হয়নি এই ওপেনারের। বড় স্কোর করতে না পারলেও নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছেন।
২০০৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক ঘটে তামিম ইকবালের। একই বছর সেপ্টেম্বরের ১ তারিখে নাইরোবিতে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়। পরের বছর ২০০৮ সালের ৪ জানুয়ারি ডানেডিনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় তামিমের। সেই টেস্ট বাংলাদেশ তিন দিনে হেরে গেলেও অভিষেক রাঙিয়েছেন তামিম। প্রথম ইনিংসে ৫৩ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেন ৮৪ রানের দারুণ এক ইনিংস।
১৫ হাজার রান করতে তামিমকে খেলতে হয়েছে ৪৪৬ ইনিংস। সাদা পোশাকে ৬৯ টেস্টের ১৩২ ইনিংসে ৩৯.০৯ গড়ে করেছেন পাঁচ হাজার ৮২ রান। ১০টি শতকের সঙ্গে অর্ধশতক ৩১টি। রঙিন পোশাকে ওয়ানডেতে খেলেছেন ২৩৬ ম্যাচ। ৩৬.৬৯ গড়ে রান করেছেন আট হাজার ১৬৯। এই রান করার পথে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪টি শতকের পাশাপাশি অর্ধশতক করেছেন ৫৫টি। টি-টোয়েন্টিতে ৭৮ ইনিংসে ২৪.০৮ গড়ে একটি শতক ও সাতটি অর্ধশতকের সাহায্যে করেছেন এক হাজার ৭৫৮ রান।
আইরিশদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামার আগে তামিমের আন্তর্জাতিক রান ছিল ১৪ হাজার ৯৮৬। ১৫ হাজারের মাইলফলক স্পর্শ করা থেকে ১৪ রান দূরে ছিলেন তিনি। ম্যাচের ৮.৩ ওভারে মার্ক অ্যাডাইরের বলে দুই রান নিয়ে ১৪ রানে পৌঁছান তামিম। এতেই প্রথম বাংলাদেশি ও সবমিলিয়ে ৪০তম ক্রিকেটার হিসেবে প্রবেশ করেন ১৫ হাজার রানের ক্লাবে।
১৫ হাজার রান করতে তামিমকে খেলতে হয়েছে ২০ হাজার ৬৫৬ বল। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩২ বলে ২৩ রান করে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন দেশসেরা ওপেনার তামিম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন তামিম ইকবালের মোট সংগ্রহ ১৫ হাজার ৯ রান।