৯০০ কেজি গরুর মাংস কাজে লেগেছে আর্জেন্টিনার
কাতারে যাওয়ার সময় পৃথকভাবে আর্জেন্টিনা এবং উরুগুয়ে প্রায় দুই হাজার পাউন্ডস (প্রায় ৯০০ কেজি) গরুর মাংস সঙ্গে নেয়। বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব থেকেই উরুগুয়ে বাদ পড়লেও লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা ঠিকই শিরোপা তুলেছে হাতে। তাতে লুইস সুয়ারেজদের কাজ না লাগলেও ৯০০ কেজি গরুর মাংস কাজে লেগেছে মেসিদের।
গরুর মাংস উৎপাদনে বিশ্বের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা এবং উরুগুয়ে। এজন্য কাতারে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার সময় পর্যাপ্ত গরুর মাংস নিয়ে যায় উভয় দল। আর্জেন্টাইন সংস্কৃতির রান্না ও খাওয়া-দাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে মেসিরা পাঁচ তারকা হোটেলে না থেকে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।
লা আলবিসেলেস্তাদের এই সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত কাজে লাগে। যদিও প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষে হেরে হোঁচট খায় মেসিরা। পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩৬ বছরের দুঃখ ঘুচিয়ে ক্ষান্ত হয় তাঁরা।
মেসিদের বিখ্যাত খাবার ‘আসাদো’ তৈরি করতে দরকার পড়ে গরুর মাংসের। গরুর বিভিন্ন অংশের মাংস নিয়ে সসেজের মিশ্রণে গ্রিল করে রান্না করা হয় ‘আসাদো’। উরুগুয়ের পাশাপাশি আর্জেন্টিনারও প্রিয় খাবার এটি। যেকোনো উৎসব বা বড় আয়োজনে দুটি দেশেই জনপ্রিয় এই ‘আসাদো’ রান্না করা হয়।
খাবারের বিষয়ে আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি বলেছিলেন, ‘আসাদোতে খাবারের চেয়েও বেশি খুঁজে পাই আমাদের সংস্কৃতিকে। এটি আমার প্রিয় খাবার। তবে, এর থেকেও আমাদের বেশি নজর থাকবে বিশ্বকাপে। আমরা চাই দলের ভেতরকার রসায়নটি মজবুত এবং একতা বৃদ্ধি করতে।’
স্কালোনির এমন আশাবাদ পূর্ণ করেন শিষ্যরা। গত ১৮ ডিসেম্বর কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে টানটান উত্তেজনার ফাইনাল ম্যাচে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। ১৯৭৮, ১৯৮৬ ও ২০২২ সালে শিরোপা জিতে তিনবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করল আর্জেন্টিনা।