এত দ্রুত বিদায় জোকোভিচের!
সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না নোভাক জোকোভিচের। গত বছর অ্যান্ডি মারের কাছে হারিয়েছিলেন টেনিস র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থান। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে যা ঘটে গেল, তা হয়তো কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। দ্বিতীয় রাউন্ডেই হারের মুখ দেখে বিদায় নিতে হলো সার্বিয়ান এই তারকাকে। টেনিস র্যাংকিংয়ের ১১৭তম খেলোয়াড় ডেনিস ইস্টোমিনের কাছে ৭-৬ (১০/৮), ৫-৭, ২-৬, ৭-৬ (৭/৫), ৬-৪ ব্যবধানে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে গতবারের শিরোপাজয়ীকে।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের উন্মুক্ত যুগে সবচেয়ে বেশি, ছয়টি শিরোপাজয়ের রেকর্ড আগে থেকেই ছিল জোকোভিচের দখলে। এবার শিরোপা জিততে পারলে জোকার ছাড়িয়ে যেতে পারতেন রয় এমারসনকেও। অস্ট্রেলিয়ার এই টেনিস খেলোয়াড়ও জিতেছিলেন ছয়টি শিরোপা। কিন্তু ইতিহাস গড়তে এসে বড় ধরনের অঘটনের শিকার হতে হলো জোকোভিচকে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার মহাকাব্যিক লড়াই শেষে হারের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাঁকে।
২০০৮ সালের উইম্বলডনের পর এবারই প্রথমবারের মতো কোনো গ্র্যান্ড স্লামের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিতে হলো জোকোভিচকে। অপ্রত্যাশিত এই হারের পরও অবশ্য প্রতিপক্ষের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জোকার। তিনি বলেছেন, ‘সে খুবই ভালো খেলেছে। সে জন্য তাকে তার প্রাপ্য সম্মান দিতেই হবে। জয়টা তার প্রাপ্য ছিল। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’
গত ডিসেম্বরে এশিয়া ওয়াইল্ডকার্ড প্লে-অফে জয় পাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ইস্টোমিন। দ্বিতীয় রাউন্ডে জোকোভিচকে হারানোকেই ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত বলে বিবেচনা করছেন উজবেকিস্তানের এই টেনিস তারকা, ‘এটা আমার সবচেয়ে বড় জয়। এর মূল্য আমার কাছে অনেক। নোভাকের জন্য আমার খারাপ লাগছে। আমি আজ খুবই ভালো খেলেছি। নিজের খেলায় আমি নিজেই অবাক হয়ে গেছি।’
জোকোভিচের মতো অন্য কোনো তারকাকে অবশ্য অঘটনের মুখে পড়তে হয়নি। নির্বিঘ্নেই তৃতীয় রাউন্ডে পা রেখেছেন অ্যান্ডি মারে, রজার ফেদেরার, স্টান ভাভরিঙ্কারা।