আরাফাত সানিকে নিয়ে মুখ খুললেন বিসিবি সভাপতি
তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এক তরুণীর দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ক্রিকেটার আরাফাত সানি। গত রোববার সকালে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ তাঁকে ঢাকার আমিনবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর একদিনের রিমান্ড শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দেরিতে হলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তা এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। আরাফাত সানি দোষী প্রমাণিত হলে তাঁকে প্রয়োজনে নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।
মঙ্গলবার বিসিবির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের নাজমুল হাসান বলেন, ‘অবশ্যই নিষিদ্ধ হবে সে। এই ধরনের খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ না হওয়ার কোনো কারণ নেই, তবে প্রমাণ সাপেক্ষ। আদালতে প্রমাণ হতে হবে সে দোষী। একটা নিউজ দেখেই তাঁকে নিষিদ্ধ করতে পারি না আমরা। তবে দোষী প্রমাণিত হলে এই ধরনের খেলোয়াড়দের ক্রিকেটে থাকার সুযোগ নেই।’
গত ৫ জানুয়ারি নাসরিন সুলতানা নামের এক তরুণী আরাফাত সানির বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। সে তরুণীর দাবি, জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ক্রিকেটারের সঙ্গে তাঁর বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে। তা ছাড়া ফেসবুকে কিছু আপত্তিকর ছবি আপলোড করেছেন, এই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলা করেন তিনি।
বেশ কিছুদিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে বাঁ-হাতি স্পিনার আরাফাত সানি। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ার পর থেকেই জাতীয় দলের বাইরে তিনি। অ্যাকশন শোধরানোর পরও জাতীয় দলে জায়গা পাননি তিনি।
অবশ্য এনটিভি অনলাইনের অনুসন্ধানে জানা যায়, আদালতে সেই তরুণীর দাখিল করা কাবিননামায় যে মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) অফিস ও ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে কোনো কাজি অফিসই নেই। সেই ঠিকানায় আছে একটি মাংসের দোকান। এর আগেও কখনো ওই ঠিকানায় কোনো কাজি অফিস ছিল না।
‘কাবিননামায়’ কাজির নাম বলা হয়েছে আনোয়ার হোসেন। উল্লেখ করা এলাকায় সেই নামে কোনো কাজি না মিললেও পাশের খিলগাঁও এলাকায় সেই নামের একজন কাজি পাওয়া যায়। সেই কাজি আনোয়ার হোসেন (বকুল) এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আরাফাত সানি নামের কেউ আমার অফিসে এসে বিয়ে করেননি। আর কাবিননামায় যে ভলিউম ও পৃষ্ঠা নম্বর রয়েছে, তার কোনোটিই সঠিক নয়। কারণ, আমার কাছে যে বই রয়েছে, তাতে এমন কোনো কিছু নেই। আর কাবিননামায় যে সিল ও স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে তা-ও আমার নয়।’