প্যারিসে সেরেনার সোনালি সাফল্য
কোর্টের অন্য প্রান্তে প্রতিপক্ষ ছিলেন লুসি সাফারোভা। ‘অদৃশ্য’ এক প্রতিপক্ষের সঙ্গেও লড়তে হচ্ছিল সেরেনা উইলিয়ামসকে, যার নাম ফ্লু। ফ্লু আক্রান্ত সেরেনা সেমিফাইনালে জিতেছিলেন অনেক কষ্ট করে। ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালেও বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড়ের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি কেউ। ৬-৩, ৬-৭, ৬-২ গেমে জিতে রোলাঁ গাঁরোতে তৃতীয় শিরোপা-উৎসবে মেতে উঠেছেন সেরেনা।
প্যারিসে তৃতীয় হলেও সব মিলিয়ে এটা এই মার্কিন তারকার ২০তম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা। এ তালিকায় সেরেনার ওপরে আছেন শুধু দুজন—অস্ট্রেলিয়ার মার্গারেট কোর্ট (২৪টি) ও জার্মানির স্টেফি গ্রাফ (২২টি)।
টেনিসের উন্মুক্ত যুগে সবচেয়ে বেশি বয়সে গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের কৃতিত্ব মার্টিনা নাভ্রাতিলোভার। ১৯৯০ সালে উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সময় এই মার্কিন কিংবদন্তির বয়স ছিল ৩৩ বছর ২৪৫ দিন। শনিবার সেরেনা চ্যাম্পিয়ন হলেন ৩৩ বছর ২৫৪ দিন বয়সে। তিন সপ্তাহ পর শুরু হতে যাওয়া উইম্বলডনের শিরোপা জিতলে নাভ্রাতিলোভার রেকর্ড ভেঙে দেবেন উইলিয়ামস পরিবারের ছোট মেয়ে।
চেক প্রজাতন্ত্রের সাফারোভার বিপক্ষে ফাইনালে একসময় মনে হচ্ছিল, সহজেই জিততে যাচ্ছেন সেরেনা। প্রথম সেট জিতে নেওয়ার পর দ্বিতীয় সেটে ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিলেন এই মার্কিন তারকা। তবে এর পর সেরেনার কয়েকটি ভুল সার্ভিস এবং সাফারোভার দুর্দান্ত টেনিস রং পাল্টে দেয় খেলার। দ্বিতীয় সেট টাইব্রেকারে জিতে নিয়ে সমতা নিয়ে আসেন সাফারোভা। তবে তৃতীয় ও শেষ সেটে অদম্য সেরেনার সঙ্গে তিনি পেরে ওঠেননি। ২৮ বছর বয়সে প্রথম কোনো গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে খেলার সুযোগ পাওয়া সাফারোভার জন্য একটাই সান্ত্বনা, র্যাঙ্কিংয়ে সাত নম্বরে উঠে এসে প্রথমবারের মতো শীর্ষ দশে প্রবেশ করলেন তিনি।
রোলাঁ গাঁরোতে তৃতীয় শিরোপা জিততে পেরে সেরেনা যে কতটা তৃপ্ত, খেলা শেষে সেটা তাঁর প্রতিক্রিয়াতেই পরিষ্কার, ‘আজ আমি খুব ভালো খেলেছি। তবে আমার প্রতিপক্ষও ছিল দুর্দান্ত। এটা আমার জন্য বিশেষ শিরোপা। কারণ, আমি প্যারিসে খুব বেশি ভালো খেলতে পারিনি। ২০তম গ্র্যান্ড স্লাম জিতে আমি খুব তৃপ্ত।’