ভারতীয় স্পিনে বিভ্রান্ত বাংলাদেশ
জিততে হলে বিশ্বরেকর্ডই করতে হবে বাংলাদেশকে। তবে জয় নয়, লক্ষ্যটা এখন ম্যাচ বাঁচানোর। ৪৫৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে তামিম-সৌম্য-মমিনুলকে হারিয়েছে সফরকারীরা। বাকি কয়েকটি উইকেট নিয়ে আগামীকাল পঞ্চম দিন ড্রয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে ৩ উইকেটে ১০৩ রান করেছে বাংলাদেশ। সাকিব ২১ ও মাহমুদউল্লাহ ৯ রানে অপরাজিত আছেন।
৪৫৯ রানের জবাবে শুরুতেই তামিম ইকবালের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অশ্বিনের বলে কোহলিকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান টাইগার দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানটি। আম্পায়ার অবশ্য প্রথমে আউট দেননি, কোহলি রিভিউ চাইলে আর রক্ষা পাননি তামিম।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সৌম্য সরকার ও মমিনুল হক ৬০ রানের জুটি বেঁধে পরিস্থিতি ভালোভাবেই সামলিয়েছিলেন। তবে অশ্বিনকে ঠেকাতে পারেননি সৌম্য। স্লিপে আজিঙ্কা রাহানের দারুণ ক্যাচে আউট হওয়ার আগে ৪২ রান করেন সৌম্য।
অশ্বিনের আরেকটি ঘূর্ণিতে ফিরে যান মমিনুল হক। আস্থার সঙ্গে খেলতে থাকা বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান ২৭ রান করেন।
জয়ের জন্য এখনো ৩৫৬ রান করতে হবে বাংলাদেশ। বাকি সাত উইকেট হাতে নিয়ে এই ম্যাচ জেতার চিন্তা করাটা বোধ হয় একটু বাড়াবাড়িই হবে। আগামীকাল প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না হারালে ভারতের অন্তত জয়টা ঠেকিয়ে দিতে পারে সাকিব-মুশফিকরা।
এর আগে বাংলাদেশকে ফলোঅনে না ফেলে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। সেখানে ইনিংসটা খুব বেশি দীর্ঘও করেনি স্বাগতিক দল। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২৯ ওভার ব্যাটিং করেই ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ফলে হায়দরাবাদ টেস্ট জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে দাঁড়িয়েছে ৪৫৯ রানের দুরূহ লক্ষ্য।
দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে শুরুটা ভালোভাবেই করেছিল বাংলাদেশ। শুরুতেই জোড়া আঘাত হেনেছিলেন তাসকিন আহমেদ। টানা দুই ওভারে আউট করেছিলেন দুই ভারতীয় ওপেনার মুরালি বিজয় ও লোকেশ রাহুলকে। অধিনায়ক কোহলিও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি উইকেটে। সাকিবের শিকার হয়ে ফিরেছিলেন ৩৮ রান করে। ২৮ রান করা আজিঙ্কা রাহানেও হয়েছেন সাকিবের শিকার। এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি ভারত। শেষ পর্যন্ত ২৯ ওভার ব্যাটিং করে ১৫৯ রান সংগ্রহের পর ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন অধিনায়ক কোহলি।
শুরু থেকেই ভারতকে অস্বস্তিতে রেখেছিলেন তাসকিন। চতুর্থ ওভারে মুরালি বিজয়কে উইকেটের পেছনে মুশফিকের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান এই ইনিংসে মাত্র ৭ রান করে আউট হন। পরের ওভারে লোকেশ রাহুলকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন। এবারও ক্যাচ ধরেন মুশি। ১৭ বলে ১০ রান করে আউট হন রাহুল। এরপর কোহলি-পুজারা মিলে ৬৭ রানের জুটি বাঁধেন। দলীয় ৯০ রানে সাকিবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ধরা পড়েন কোহলি। ৪০ বলে ৩৮ রান করেন ভারত অধিনায়ক।