প্রেমাদাসায় জিততে পারে না শ্রীলঙ্কা
টি-টোয়েন্টি সিরিজে স্বাগতিক হিসেবে কিছুটা এগিয়েই থাকার কথা শ্রীলঙ্কার। কিন্তু ভেন্যুর কথা ভেবে হয়তো কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যাচ্ছে লঙ্কান সমর্থকদের। কারণ শ্রীলঙ্কা, কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে জয় একেবারে পায়নি বললেই চলে। দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামার আগে এ পরিসংখ্যান নিশ্চিতভাবেই কিছুটা আত্মবিশ্বাস জোগাবে বাংলাদেশ শিবিরে।
২০০৯ সালে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলেছিল শ্রীলঙ্কা। বলা বাহুল্য, শুরুটা হয়েছিল ভারতের বিপক্ষে হার দিয়ে। তার পর থেকে এই স্টেডিয়ামে লঙ্কান ক্রিকেটাররা খেলেছেন মোট ১১টি ম্যাচ। এর মধ্যে জয় মাত্র একটিতে। ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু শিরোপা জয়ের অন্তিম লড়াইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল স্বাগতিকদের।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কা সবচেয়ে বেশি হেরেছে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে, তিনবার করে। এই মাঠে লঙ্কানদের একমাত্র জয়টি অবশ্য এসেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে। ২০০৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে শ্রীলঙ্কা ডুবেছিল হোয়াইটওয়াশের লজ্জায়। দুটি ম্যাচই হয়েছিল এই প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে। এ ছাড়া এই মাঠে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা হেরেছে একটি করে ম্যাচ। প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অবশ্য বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হতে যাচ্ছে প্রথমবারের মতো।
প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকেও শ্রীলঙ্কার এই হতাশাজনক পরিসংখ্যানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন সাংবাদিকরা। মাশরাফি অবশ্য এই পরিসংখ্যানের বিচারে নিজেদের এগিয়ে রাখতে রাজি হননি। তিনি বলেছেন, ‘এগুলো দিয়ে কিছু বিচার করা যায় না। চট্টগ্রামে আমাদের রেকর্ড খুব ভালো। কিন্তু গত বছর ইংল্যান্ডের ওয়ানডে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আমরা সেখানে গিয়ে হেরেছিলাম।’
তবে মাশরাফি ব্যাপারটা উড়িয়ে দিলেও বাংলাদেশের সমর্থকরা হয়তো আশায় বুক বাঁধবেন প্রেমাদাসার এই পরিসংখ্যানের দিকে তাকিয়ে।