রানটা কম হয়ে গেছে, বললেন মাশরাফি
ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়! হুড়মুড়িয়ে ধ্বসে গেল অভিজ্ঞ ও ভালো ফর্মে থাকা ব্যাটিং অর্ডার। অলআউট হয়ে গেল মাত্র ৮৪ রানে। সেই টাটকা স্মৃতি আর শঙ্কা থেকেই হয়তো বাংলাদেশ আজ মাঠে নামল আটজন ব্যাটসম্যান নিয়ে। ১০টি ওভার অনিয়মিত বা স্পেশালিস্ট নয়, এমন বোলারদের দিয়ে বল করানোর ঝুঁকি মাথায় নিয়ে।
তার ফল যে খুব একটা ভালো হলো না, সেটা হাতেনাতেই টের পেল বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আট উইকেটের বড় ব্যবধানের হার দিয়ে।
কেনিংটন ওভালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য ভালো নৈপুণ্যই দেখিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। স্কোরবোর্ডে জমা করেছিলেন ৩০৫ রান। তামিম খেলেছেন অনেকগুলো রেকর্ড গড়া এক শতরানের ইনিংস। ৭৯ রান করা মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে গড়েছেন রেকর্ডগড়া জুটি। কিন্তু ইংল্যান্ডের এই ব্যাটিং সহায়ক পিচে জয়ের জন্য সেটা যে যথেষ্ট ছিল না, সেটা স্বীকার করে নিতে হলো মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘আটজন ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলেছি। আমাদের সামনে ভালো সুযোগ ছিল ৩৩০ বা ৩৪০ রান করার। কিন্তু আমরা সেটা করতে পারিনি। দ্রুত কয়েকটা উইকেট হারিয়েছি। শেষ কয়েক ওভারে খুব বেশি রান তুলতে পারিনি। ফলে আমাদের ২০-৩০ রান কম হয়ে গেছে।’
আসলেও তাই। আটজন ব্যাটসম্যান নিয়ে খেললেও স্কোরটা প্রত্যাশা অনুযায়ী বড় করা যায়নি। ঠিকঠাক কাজেই লাগানো যায়নি আট ব্যাটসম্যানের একাদশকে। তৃতীয় উইকেটে ১৬৬ রানের জুটি গড়ে বেশিরভাগ সময় উইকেটে ছিলেন তামিম ও মুশফিক। কিন্তু ৪৫তম ওভারে টানা দুই বলে সাজঘরের পথ ধরেন দুজনই। ম্যাচের বাকি কয়েকটা ওভারের জন্য ব্যাট করতে এসে শুধু হুটোপুটিই করেছেন সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেকরা। ২ উইকেটে ২৬১ রানের দারুণ অবস্থান নিয়েও তাই শেষ পাঁচ ওভারে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে মাত্র ৪৩ রান।
আর একজন স্পেশালিস্ট বোলার না নেওয়ার প্রভাবটাও টের পাওয়া গেছে বোলিংয়ের সময়। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডারে সেভাবে ভীতিই ছড়াতে পারেননি মাশরাফিরা। অনায়াসেই ব্যাটিং করে গেছেন জো রুট, ওয়েন মরগানরা। ফলাফল: ১৬ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বড় জয়।