সেমিফাইনালে যেতে পাকিস্তানের চাই ২৩৭ রান
ভারত, বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এবারের আসর এরই মধ্যে তার তিন সেমিফাইনালিস্ট পেয়ে গেছে। বাকি রয়েছে কেবল একটি দল। আজ সেটিও নির্ধারণ হয়ে যাবে। শেষ চারে ওঠার জন্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাকিস্তানকে করতে হবে ২৩৭ রান।
ভারতের বিপক্ষে ৩২২ রান তাড়া করে দারুণ জয় পেলেও আজ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অঘোষিত কোয়ার্টার ফাইনালে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখেই পড়েছে শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের বোলারদের দারুণ নৈপুণ্যে পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিংও করতে পারেননি লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। ২৩৬ রানেই অলআউট হয়ে গেছেন পাঁচ বল বাকি থাকতেই।
আজ টসভাগ্য যায়নি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের পক্ষে। ভাগ্য পরীক্ষায় জিতে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন পাকিস্তানের দলপতি সরফরাজ আহমেদ। ষষ্ঠ ওভারেই শ্রীলঙ্কা হারিয়েছিল প্রথম উইকেট। জুনায়েদ খানের বলে শোয়েব মালিককে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান দানুস্কা গুনাথিলকে। ২০ বলে ১৩ রান করেন তিনি। এরপর ভালোই থেলছিল লঙ্কানরা। ওপেনার দিকভেলা ও কুশল মেন্ডিস পাকিস্তানের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোড়াতে থাকেন। দলীয় ৮২ রানে হাসান আলির দুর্দান্ত একটি ইন সুইংয়ে পরাস্ত হন কুশল মেন্ডিস। ২৯ বলে ২৭ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। এরপর পরের ওভারে দিনেশ চান্দিমালকে ফেরান অভিষিক্ত ফাহিম আশরাফ। ৮৩ রানে তিন উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে ৭৮ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন নিরোশান ডিকওয়েলা ও অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ৩২তম ওভারে এই জুটি ভাঙার পর আবার ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। ৩৯ রান করে ফিরে গেছেন ম্যাথিউস। পরের দুই ওভারে ধনঞ্জয় ডি সিলভা ও ডিকওয়েলার উইকেটও তুলে নিয়েছেন পাকিস্তানের বোলাররা। ৭৩ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে ফিরে গেছেন ডিকওয়েলা। শেষপর্যায়ে আসেলা গুনারত্নের ২৭ ও সুরঙ্গা লাকমলের ২৬ রানের ছোট দুটি ইনিংসে ভর করে স্কোরবোর্ডে ২৩৬ রান জমা করেছে শ্রীলঙ্কা।
পাকিস্তানের পক্ষে দারুণ বোলিং করেছেন জুনায়েদ খান ও হাসান আলী। দুই পেসারই পেয়েছেন তিনটি করে উইকেট। দুটি করে উইকেট গেছে মোহাম্মদ আমির ও ফাহিম আশরাফের ঝুলিতে।
শ্রীলঙ্কা একাদশ : নিরোশান দিকভেলা, দানুস্কা গুনাথিলকে, কুশল মেন্ডিস, দিনেশ চান্ডিমাল, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, আসেলা গুনারত্নে, ধনঞ্জয় ডি সিলভা, থিসারা পেরেরা, সুরঙ্গা লকমাল, লাসিথ মালিঙ্গা ও নুয়ান প্রদীপ।
পাকিস্তান একাদশ : আজহার আলি, ফখর জামান, বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, সরফরাজ আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ আমির, ফাহিম আশরাফ, হাসান আলি ও জুনা য়েদ খান।