ফাইনালে যেতে পাকিস্তানের চাই ২১২ রান
গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ জিতে দাপুটে ভঙ্গিতেই সেমিফাইনালে পা রেখেছে ইংল্যান্ড। স্বাগতিক হিসেবে ইংল্যান্ডকেই শিরোপা জয়ের অন্যতম প্রধান দাবিদার হিসেবে বিবেচনা করছেন অনেকে। তবে সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে বেশ কঠিন পরীক্ষাই দিতে হচ্ছে ইংলিশ ক্রিকেটারদের। বল হাতে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে স্বাগতিকদের কোনঠাসা করে ফেলেছেন পাকিস্তানের বোলাররা। ফাইনালে যাওয়ার জন্য এখন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের করতে হবে ২১২ রান।
জুনায়েদ খান, হাসান আলী ও অভিষিক্ত রুম্মান রইসের দারুণ বোলিংয়ে বড় কোনো জুটিই গড়ে তুলতে পারেননি ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। তৃতীয় উইকেটে জো রুট ও ওয়েন মরগানের ৪৮ রানের জুটিটিই ছিল ইংলিশ ইনিংসের সর্বোচ্চ রানের জুটি। অর্ধশতকও করতে পারেননি কোনো কোনো ইংলিশ ব্যাটসম্যান। সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংসটি এসেছে জো রুটের ব্যাট থেকে।
পাকিস্তানের পক্ষে দারুণ বোলিং করেছেন হাসান আলী। ১০ ওভার বল করে মাত্র ৩৫ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। রুম্মান ও জুনায়েদের ঝুলিতে গেছে দুটি করে উইকেট।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালোভাবেই করেছিল ইংল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৪ রান যোগ করেছিলেন জনি বেয়ারস্টো ও অ্যালেক্স হালেস। ষষ্ঠ ওভারে হালেসের উইকেট হারানোর পরও অবশ্য ইংল্যান্ড ঘুরে দাঁড়িয়েছিল দারুণভাবে। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৬ রানের জুটি গড়েছিলেন বেয়ারস্টো ও জো রুট। ১৭তম ওভারে পাকিস্তান পেয়েছে দ্বিতীয় সাফল্য। হাসান আলী ফিরিয়েছেন ৪৩ রান করা বেয়ারস্টোকে।
এরপরও অবশ্য কোনো চাপ টের পেতে দেননি রুট ও অধিনায়ক ওয়েন মরগান। তৃতীয় উইকেটে ৪৮ রানের জুটি গড়ে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন এই দুই ব্যাটসম্যান। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে এই দুজনের উইকেট হারিয়ে বেশ চাপের মুখেই পড়ে গেছে স্বাগতিকরা। ২৮তম ওভারে রুট ফিরে গেছেন ৪৬ রান করে। আর তিন ওভার পর ৩৩ রান করে সাজঘরের পথ ধরেছেন মরগান। খুব বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি জস বাটলার (৪) ও মইন আলীও (১১)। দুজনেই ফিরে গেছেন জুনায়েদ খানের শিকার হয়ে। শেষপর্যায়ে বেন স্টোকসের ৩৪ রানের লড়াকু ইনিংসটিতে ভর করে স্কোরবোর্ডে ২১১ রান জমা করেছে ইংল্যান্ড।
মুখোমুখি লড়াইয়ে ইংল্যান্ড অবশ্য পাকিস্তানের চেয়ে ঢের এগিয়ে আছে। এ পর্যন্ত দুদলের ৭৬ বার সাক্ষাৎ হয়েছে, তাতে ৪৫ জয় নিয়ে এগিয়ে আছে ইংল্যান্ড। পাকিস্তান জয় পেয়েছে ২৯ ম্যাচে। আইসিসির টুর্নামেন্টের জয়ের পরিসংখ্যান কখা বলছে ইংল্যান্ডের পক্ষেই। যেকোনো টুর্নামেন্টে ১০ লড়াইয়ে ছয়বার জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। ১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপের পর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে পারেনি পাকিস্তান।
ইংল্যান্ড একাদশ : অ্যালেক্স হেলস, জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, ইয়ন মরগান, বেন স্টোকস, মইন আলি, জস বাটলার, জ্যাক বল, লিয়াম প্লাঙ্কেট, আদিল রশিদ ও মার্ক উড।
পাকিস্তান একাদশ : আজহার আলী, ফখর জামান, বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, সরফরাজ আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, ফাহিম আশরাফ, হাসান আলী ও জুনায়েদ খান।