আমির সোহেলকে ধুয়ে দিলেন গাঙ্গুলী ও হরভজন
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে উঠে গেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। তবে তাতে মনে হয় খুব একটা খুশি হতে পারেননি দেশটির সাবেক ক্রিকেটার আমির সোহেল ও জাভেদ মিয়াঁদাদ। বর্তমান পাক ক্রিকেট বোর্ডের কট্টর বিরোধী এই দুই ক্রিকেটার পাকিস্তানের ফাইনালে আসার পেছনে স্পট ফিক্সিংয়ের হাত দেখছেন। আমির সোহেল মনে করেন, পাকিস্তান জাতীয় দলকে ফাইনালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কে বা কারা করেছে এ বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
পাকিস্তানের হয়ে ৪৭টি টেস্ট ও ১৫৬টি ওয়ানডে খেলা আমির সোহেল দেশটির এক টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া মন্তব্যে বলেন, ‘আমি সরফরাজকে বলতে চাই, ভাই, তুমি অলৌকিক কিছু করে ফেলোনি। তোমাকে কেউ ম্যাচ জিতিয়েছে। তুমি, এত বড় বড় কথা বলো না, খেলার ভেতরে কী হয় আমরা কিন্তু সব জানি। এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না। আমাকে যদি বলা হয়, পাকিস্তান কীভাবে ম্যাচ জিতেছে তাহলে বলব, ভক্তদের দোয়ায় আর আল্লাহর মেহেরবানিতে আমরা জয় পেয়েছি। পর্দার পেছনে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের নাম আমি বলছি না। তবে সরফরাজকে বলব, খুব বেশি খুশি হওয়ার দরকার নেই। কোনো এক কারণে তোমাকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন তুমি নিজের খেলায় মন দাও। মাথায় উঠে বসো না। তোমার সামর্থ্য সম্পর্কে আমাদের জানা আছে। চুপ করে ক্রিকেট খেলো। ভুল করলে তোমার সমালোচনা করব, ভালো খেললে প্রশংসা করব।’
সাবেক এই ক্রিকেটারের এমন বক্তব্যের পরই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়ে গেছে। নিজ দেশেই দারুণ সমালোচিত হচ্ছেন তিনি। পাক সমর্থকরা ধুয়ে দিয়েছেন এই ক্রিকেটারকে। দেশের বাইরে আমির সোহেলের সমালোচনা হচ্ছে। ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী ও স্পিনার হরভজন সিং আমির সোহেলের সমালোচনা করেছেন। সৌরভ গাঙ্গুলী বলেন, ‘এটা স্টুপিডের মতো কথা। দেশের হয়ে অনেকদিন খেলেছে সে, অধিনায়কত্বও করেছে। সে কীভাবে এমন কথা বলতে পারে! তাঁর উচিত ছিল দলকে সমর্থন করা, ক্রিকেটারদের প্রশংসা করা। এই ছেলেরা দারুণ লড়াই করে ফাইনালে উঠেছে। দেশটির ক্রিকেট কাঠামো ভেঙে পড়েছে। সেখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হচ্ছে না, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের বাজে অবস্থা, তারপরও তারা ফাইনালে খেলছে এটা অনেক বড় বিষয়।’
হরভজন সিং তো আমির সোহেলকে হিংসুক বলে ফেললেন। ‘পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা আসলে খুব হিংসুটে। ওরা আসলে ভাবতেই পারেনি যে, দলটা ফাইনালে উঠবে। সত্যি বলতে আমিও তা ভাবিনি। তবে বড় দলগুলোকে হারিয়ে তারা ফাইনালে উঠেছে, না ভাবলেও এটা প্রশংসার দাবিদার।’