দলের ব্যর্থতায়ও উজ্জ্বল ধাওয়ান
ফেভারিটের তকমা নিয়েই এই আসরে খেলতে এসেছিল ভারত। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তারা খেলেও ছিল দারুণ। ফেভারিটের মতো খেলেই ফাইনালে উঠে আসে গতবারের চ্যাম্পিয়ন দলটি। সেই দলটিই কিনা ফাইনালে একেবারেই ব্যর্থ হয়েছে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে ফাইনালে একেবারেই অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে। অবশ্য দল শিরোপা জিততে ব্যর্থ হলেও উজ্জ্বল ছিলেন ওপেনার শিখর ধাওয়ান। আসরের সেরা ব্যাটসম্যানের পুরস্কার পেয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
পাঁচ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি ও দুটি হাফসেঞ্চুরিতে ধাওয়ান ঝুলিতে পুরেছেন ৩৩৮ রান। তবে ফাইনালে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। করেছেন ২২ বলে মাত্র ২১ রান। দলের দুর্দিনে খুব একটা দৃঢ়তা দেখাতে না পারলেও এই আসরের ফাইনালে ওঠার ক্ষেত্রে দারুণ অবদান রেখেছেন তিনি। অবশ্য ফাইনালে তিনি একাই নন, অন্য টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরাও নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।
অবশ্য সেরা রান সংগ্রাহক হয়ে দলের ব্যর্থতার দিনে কিছুটা হলেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন ধাওয়ান। ৩০৪ রান করে আসরে দ্বিতীয় হয়েছেন আরেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালও সেরাদের কাতারে রয়েছেন। ২৯৩ রান করে তৃতীয় হন তিনি। এই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান একটি সেঞ্চুরি ও দুটি হাফসেঞ্চুরি করে দলকে শেষ চারে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
চার ম্যাচে ১৬৮ রান করে বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ১১তম ও ১৬৩ রান করে মুশফিকুর রহিম হন ১৩তম। সাকিব আসরে দারুণ একটি সেঞ্চুরি করেন নিউল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপর্বের শেষ ম্যাচে।