প্রোটিয়াদের উড়িয়ে স্বরূপে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই স্বরূপে ফিরল মাশরাফির দল। দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ২৭.৪ ওভারে সহজেই ৭ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে স্বাগতিক দল। এই জয়ে ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত হল বাংলাদেশের।
আগামী বুধবার চট্টগ্রামে শেষ ম্যাচেও জয় পেলে ভারত-পাকিস্তানের পর প্রোটিয়া-বধের উল্লাসে মেতে উঠবে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটা বাংলাদেশের মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডে জয়। আগের জয়টি ছিল ২০০৭ বিশ্বকাপে, ৬৭ রানের।
রোববার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বোলারদের নৈপুণ্যে প্রোটিয়াদের মাত্র ১৬২ রানে গুটিয়ে দিলেও ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই কাগিসো রাবাদাকে ডাউন দ্য উইকেটে মারতে গিয়ে বোল্ড হয়ে গেছেন তামিম ইকবাল। আগের ম্যাচে ৬ উইকেট নেওয়া রাবাদার পরের ওভারে লিটন দাসও বোল্ড।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন তামিম। কাইল অ্যাবটের প্রথম বলেই এগিয়ে এসে সজোরে ব্যাট চালিয়েছিলেন। সেই বল ব্যাটে লাগাতে না পারলেও চতুর্থ বলে চার মেরেছিলেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে অভিষেকেই হ্যাটট্রিকসহ ছয় উইকেট নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়া রাবাদাকে বেরিয়ে এসে মারতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এবার আর সফল হতে পারেননি। বোল্ড হয়ে ফিরে গেছেন মাত্র ৫ রান করে।
লিটন শুরু করেছিলেন ঝড়ের বেগে। রাবাদাকে পুল করে ছক্কা আর দারুণ ফ্লিকে চার মেরে বড় কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু ১৪ বলে ১৭ রান করা লিটনের অফস্টাম্প উপড়ে ‘প্রতিশোধ’ নিতে দেরি করেননি রাবাদা।
২৪ রানে দুই উইকেট হারিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে গেলেও সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহর দৃঢ়তায় জয় পেতে সমস্যা হয়নি বাংলাদেশের। শুরুতে ধীর-স্থির থাকলেও সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে হাত খুলে খেলেছেন সৌম্য। তাই ৪৭ বলেই পেয়ে গেছেন তৃতীয় অর্ধশতক। শেষ পর্যন্ত ৭৯ বলে ৮৮ রানে অপরাজিত সৌম্যর আক্রমণাত্মক ইনিংসটা সাজানো ১৩টি চার ও একটি ছক্কায়। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও তিনি।
অর্ধশতক পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহও। চোট থেকে ফিরে আগের ম্যাচে প্রথম বলেই আউট হওয়ার হতাশা পেছনে ফেলে ঠিক ৫০ রান করেছেন তিনি। ৬৪ বলের দৃঢ়তাভরা ইনিংসটা ৬টি চারে নির্মিত। তৃতীয় উইকেটে সৌম্য-মাহমুদউল্লাহর ১৩৫ রানের জুটি সহজ জয় এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ফাফ ডু প্লেসির ৪১ ও ফারহান বেহারদিনের ৩৬ রানের সুবাদে ১৬২ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও নাসির হোসেন।