মাশরাফিরও অপেক্ষার অবসান
আব্দুর রাজ্জাকের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করার দৌড়ে সাকিব আল হাসানের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে শুরুর আগে মাশরাফির ছিল ১৯৯ উইকেট। আর সাকিবের ১৯৮টি। তবে অধিনায়ককে পেছনে ফেলে সহ-অধিনায়ক সাকিব আগে পূর্ণ করেছেন উইকেটের ‘ডাবল সেঞ্চুরি’। মাশরাফিকে অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ধীরে ধীরে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা ডেভিড মিলারকে আউট করে ছুঁয়ে ফেলেছেন ২০০ উইকেটের মাইলফলক।
সাকিব ও মাশরাফি দুজনেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে শুরু করেছিলেন ১৯৮ উইকেট নিয়ে। গত রোববারের সেই ম্যাচে সাকিব ছিলেন উইকেটশূন্য। আর একটি উইকেট নিয়ে ২০০ উইকেটের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন মাশরাফি। তবে বুধবার তৃতীয় ওয়ানডেতে দুই উইকেট নিয়ে সাকিবই আগে ছুঁয়েছেন ২০০ উইকেটের মাইলফলক। মাশরাফির ‘টু হান্ড্রেড’ ক্লাবে প্রবেশের উইকেটের পেছনে বিশাল অবদান সাব্বির রহমানের। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দর্শনীয় ক্যাচ ধরেছেন তিনি। ৫১ বলে ৪৪ রান করা মিলারকে ফিরিয়ে মাশরাফিও মেতে উঠেছেন ২০০ উইকেটের আনন্দে।
সাকিব-মাশরাফির আগে ওয়ানডে ক্রিকেটের ৪৪ বছরের ইতিহাসে ২০০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব ছিল ৩৫ জন বোলারের। এর মধ্যে বাংলাদেশি ছিলেন মাত্র একজন—বাঁ-হাতি স্পিনার রাজ্জাক। বুধবার এই তালিকা আরো বড় হলো বাংলাদেশের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের সৌজন্যে।
ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি ৫৩৪টি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড নিঃসন্দেহে আরো অনেক দিন থাকবে শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি অফস্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরনের দখলে। এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে থাকা বোলারদের মধ্যে ‘মুরালি’র সবচেয়ে কাছাকাছি আছেন হরভজন সিং। ভারতের এই অফস্পিনারের ঝুলিতে আছে ২৬১ উইকেট।
ওয়ানডেতে মুরালিধরন ছাড়া আর একজনই নিতে পেরেছেন ৫০০ উইকেট। অনেকের মতেই সর্বকালের সেরা বাঁ-হাতি পেসার পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরামের উইকেটসংখ্যা ৫০২টি।