প্রোটিয়াদের বধ করে আরেক ইতিহাস
প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ায় ওয়ানডে সিরিজের শুরুটা ভালো হয়নি। তবে পরের দুই ম্যাচ দাপটের সঙ্গে জিতে আরেকটি গৌরবগাঁথা রচনা করল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও ভারতের পর ষষ্ঠ টেস্ট দল হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকাকেও ওয়ানডে সিরিজে হারিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট আজ অনন্য উচ্চতায়। ঘরের মাটিতে মাশরাফির দলের এটা টানা চতুর্থ ওয়ানডে সিরিজ জয়। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের গুঁড়িয়ে বাংলাদেশের জয় ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।urgentPhoto
প্রথম ওয়ানডের মতো তৃতীয় ম্যাচেও বৃষ্টির কারণে খেলার দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনা হয়েছে ৪০ ওভারে। সাকিব-মুস্তাফিজ-রুবেলদের দারুণ বোলিংয়ে ৯ উইকেটে ১৬৮ রানে থেমে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ১৭০ রান। সেই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৬.১ ওভারে মাত্র একটি উইকেট হারিয়েই জয় তুলে নিয়েছেন মাশরাফি ও তাঁর সতীর্থরা।
উদ্বোধনী জুটিতেই ১৫৪ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবাল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের সেরা উদ্বোধনী জুটি। আগের রেকর্ডেও ছিল তামিমের নাম। ২০০৮ সালে আরেক বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েসকে নিয়ে ৪৬ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি।
দারুণ ব্যাটিং করে সৌম্য চলে গিয়েছিলেন ওয়ানডেতে দ্বিতীয় শতকের কাছাকাছি। কিন্তু ৯০ রান করে ইমরান তাহিরের বলে আউট হয়ে আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে এই আক্রমণাত্মক বাঁ-হাতি ওপেনারকে। এটা সৌম্যর চতুর্থ অর্ধশতক। ৭৫ বলের ঝড়ো ইনিংস খেলার পথে ১৩টি চার ও একটি ছক্কা মেরেছেন তিনি। ম্যাচ ও সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার অনুমিতভাবেই সৌম্যর হাতে উঠেছে।
অন্য ওপেনার তামিম দলকে জিতিয়েই মাঠ থেকে ফিরেছেন। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে রেকর্ড ৩১তম অর্ধশতক করে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৬১ রানে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫০ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়া দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে গেছেন ডেভিড মিলার ও জেপি ডুমিনি। মাশরাফির শিকারে পরিণত হওয়ার আগে মিলার করেন ৪৪ রান। ওয়ানডেতে ২১তম অর্ধশতক করে ডুমিনি আউট হয়েছেন শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে। তাঁর রান ৫১।
বল হাতে সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মুর্তজা পৌঁছেছেন নতুন উচ্চতায়। আব্দুর রাজ্জাকের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বোলার হিসেবে স্পর্শ করেছেন ২০০ উইকেটের মাইলফলক। ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সাকিব বাংলাদেশের সেরা বোলার। দুটি করে উইকেট মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেনের।