ক্রিকেট-বিশ্বে বাংলাদেশ-বন্দনা
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক-টুইটারে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে একটি হ্যাশট্যাগ। #Riseoftigers। মানে ‘বাঘদের উত্থান’। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের যে আদর করে ‘টাইগার’ বলা হয়, তা ক্রিকেট বিশ্ব জেনে গেছে ভালোভাবেই। ক্রিকেট অঙ্গনে বাংলাদেশের যে বিস্ময়কর উত্থান হচ্ছে, তা স্বীকার করতেও দ্বিধা নেই অনেকের। পাকিস্তান-ভারতের পর দক্ষিণ আফ্রিকাকেও ওয়ানডে সিরিজে হারিয়ে মাশরাফিরা প্রমাণ করেছেন, ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশ এখন অন্যতম পরাশক্তি। টানা চারটি ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর এ ব্যাপারে দ্বিমত করার মানুষ খুব বেশি পাওয়া যাবে না।
বাংলাদেশ বরং প্রশংসার ভেলায় ভেসে বেড়াচ্ছে এখন। ওয়ানডে সিরিজে হেরে গেলেও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ড (সিএসএ) মাশরাফির দলের প্রশংসায় কার্পণ্য করেনি। সিএসএর ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ-বন্দনা, ‘ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে প্রোটিয়াদের ৯ উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশ নিশ্চিত করেছে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে তারা এখন প্রধান উদীয়মান শক্তি।’ আর বাংলাদেশের আরেকটি সাফল্যের খবর জানিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপির টুইটারে লেখা হয়েছে, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জিতে অব্যাহত আছে বাংলাদেশের উত্থান।’
বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন বেশ কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটার। তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য শ্রীলঙ্কার রাসেল আরনল্ড, জিম্বাবুয়ের চার্লস কভেন্ট্রি, অস্ট্রেলিয়ার টম মুডি আর দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক স্মিথ টুইটারে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশকে অভিনন্দন। কিন্তু কষ্ট যে পেয়েছি তা স্বীকার করতেই হবে।’
অস্ট্রেলিয়ার ১৯৯৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য মুডির মন্তব্য, ‘ঘরের মাটিতে আরেকটি সিরিজ জয় করে সবার মন জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। এবার হারতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।’ ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর লেখক অ্যান্ড্রু ম্যাকগ্লাশানও সাকিব-মাশরাফিদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, ‘একদিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের উত্থান এ সময়ের অন্যতম সেরা ক্রিকেট গল্প।’
বাংলাদেশের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজে পাচ্ছেন আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও’ব্রায়েন। ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ শতক করে আইরিশদের জয় এনে দেওয়া এই ব্যাটসম্যান টুইটারে লিখেছেন, ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিশ্চিত করায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন। খেলার সুযোগ পেলে একটা দল কী করতে পারে সেটা তারা দেখিয়ে দিয়েছে।’