নিউজিল্যান্ডের অনায়াস জয়
গত এক মাস ধরে নিউজিল্যান্ডে আছে শ্রীলঙ্কা। টেস্ট এবং ওয়ানডে সিরিজে হারের ধকল কাটিয়ে উঠতে না পারাই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তাদের হারের বড় কারণ। তা ছাড়া ৩৩২ রানের টার্গেটে পৌঁছানো যেকোন দলের জন্যই কঠিন। যদিও শুরুতে রান তোলার হার ভালোই ছিল শ্রীলঙ্কার। কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে পারেননি বলে শ্রীলঙ্কা শেষ পর্যন্ত ম্যাচটিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলতে পারেনি।
শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তাড়াহুড়া করার প্রবণতা দেখা গেছে। এটা তাঁদের হারের অন্যতম কারণ। দুই ব্যাটিং স্তম্ভ মাহেলা জয়াবর্ধনে দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ায় এবং কুমার সাঙ্গাকারা ইনিংসকে বেশিদূর নিয়ে যেতে না পারায় শ্রীলঙ্কার পক্ষে এত বড় টার্গেটে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
যদিও ‘সাঙ্গা’ ৩৯ রানের ইনিংস খেলে বিশ্বকাপে হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। সনাথ জয়সুরিয়া ও অরবিন্দ ডি সিলভার পর শ্রীলঙ্কার তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। সাঙ্গাকারাকে আমার অভিনন্দন।
তবে আরো বড় ইনিংস খেলতে পারলে বেশি প্রশংসা যেমন পেতেন, তেমনি তাঁর দলও উপকৃত হতো।
অবশ্য নিউজিল্যান্ডের বোলাররা খুব ভালো বল করেছেন। এবারের বিশ্বকাপে যেকোনো দলকে ভোগানোর মতো সতর্কবার্তাও তাঁরা দিয়েছেন। কিউই বোলারদের লাইন-লেংথ চমৎকার। তাই শ্রীলঙ্কা শুরুটা ভালো করেও শেষ পর্যন্ত জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি।
টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, অ্যাডাম মিল্ন ও ড্যানিয়েল ভেট্টরি দারুণ বোলিং করেছেন এই ম্যাচে। মনে হচ্ছে এই চারজন পুরো বিশ্বকাপে ব্যাটসম্যানদের ভোগাবেন।
লঙ্কান বোলাররা ভালো করতে না পারায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস এত বড় হয়েছে। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার মূল ‘অস্ত্র’ লাসিথ মালিঙ্গা তেমন কার্যকর ছিলেন না। নতুন বলে তাঁর সঙ্গী নুয়ান কুলাসেকারাও খুব একটা চাপে ফেলতে পারেননি স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের। সে কারণেই নিজেদের মাটিতে কিউই ব্যাটসম্যানরা সাবলীলভাবে খেলতে পেরেছেন। শেষ পর্যন্ত জয়ও তাঁরা সহজেই পেয়েছেন।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচও তিনি।