প্রতিটি বিভাগেই অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্য
টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত ইংল্যান্ডের জন্য চরম ভুল ছিল। এমন একটা ম্যাচে ইংল্যান্ডের আগে ব্যাট করা উচিত ছিল। এই ভুল সিদ্ধান্তের মাশুল তারা পুরো ম্যাচে দিয়েছে। তাই হেরেছেও বাজেভাবে। আর অস্ট্রেলিয়াও সুযোগটা ভালোভাবে নিয়েছে এবং প্রতিটি বিভাগেই পূর্ণ আধিপত্য দেখিয়েছে।
যদিও আমি আশা করেছিলাম, এই ম্যাচে বেশ জমজমাট লড়াই হবে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের সামনে ইংল্যান্ডের বোলারদের দুর্দশা দেখে কিছুটা অবাকই হয়েছি।
৭০ রানে তিন উইকেট পড়ে যাওয়ায় অজিদের ব্যাটিংয়ে কিছুটা ধাক্কা লাগে। কিন্তু পরবর্তীতে অ্যারন ফিঞ্চের সেঞ্চুরি এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের দ্রুতগতির ইনিংস অস্ট্রেলিয়াকে বড় স্কোর গড়তে সহায়তা করেছে।
ইংলিশ পেসার স্টিভেন ফিন ভালো বোলিং করেছেন। এবারের বিশ্বকাপে তিনিই প্রথম হ্যাটট্রিক করলেন। এটা এক অসাধারণ অর্জন। তবে ইংল্যান্ডের অন্য বোলাররা জ্বলে উঠতে পারলে স্বাগতিকদের ইনিংস এত বড় হতো না।
টার্গেট অনেক বড় হওয়ায় ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা চাপ নিয়ে মাঠে নামে। ফলও যা হওয়ার তাই হয়েছে, শুরুতেই তাদের ব্যাটিংয়ে একটা বড় ধাক্কা লেগেছে। ৯২ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলার পর মনে হয়েছিল ইংল্যান্ড ১০০ রানও করতে পারবে না। তবে জেমস টেলরের দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিং প্রমাণ করেছে এই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডেরও ভালো করার ক্ষমতা আছে।
টেলরের দুর্ভাগ্য, সঙ্গীর অভাবে সেঞ্চুরি করতে পারেননি। ৯৮ রানে অপরাজিত থেকে দলের হার এবং সেঞ্চুরি না পাওয়ার ব্যথা নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
অস্ট্রেলিয়া পুরো ম্যাচে পূর্ণ আধিপত্য দেখিয়ে জিতে প্রমাণ করেছে টুর্নামেন্টে ভালো করার ক্ষমতা আছে তাদের। পরের ম্যাচগুলোতে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে শিরোপার অন্যতম দাবিদার হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে তারা। বেশ কিছুদিন ধরে অস্ট্রেলিয়া ভালো পারফর্ম করছে। আমি বলব, এটা সেই ধারাবাহিকতারই সুফল।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ।