স্কয়ার ড্রাইভ
পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতকে এগিয়ে রাখছি
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই অন্যরকম উত্তেজনার আবহ। আর বিশ্বকাপ হলে তো কথাই নেই। রোমাঞ্চের আমেজ বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। শুরুতেই এই ম্যাচটি হওয়ায় বিশ্বকাপের উত্তেজনা অনেক বেড়ে গেছে। আর দশজনের মতো আমিও ম্যাচটি অনেক আগ্রহ নিয়ে দেখব। তবে এই ম্যাচে কাউকে এগিয়ে রাখা মুশকিল।
তারপরও বিশ্বকাপের অতীত রেকর্ড এবং সব কিছু বিবেচনায় ভারত কিছুটা এগিয়ে থাকবে। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচটি ম্যাচের সবগুলোতেই তারা জিতেছে। ভারতের জন্য এটি ‘প্লাস পয়েন্ট’। কিন্তু মনে রাখতে হবে বিশ্বকাপের ওই পাঁচ ম্যাচেই শচীন টেন্ডুলকার ছিলেন। এর মধ্যে তিনটিতেই ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন তিনি। টেন্ডুলকারের মতো একজন ক্রিকেটার থাকা মানে একটি দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যাওয়া।
টেন্ডুলকার নেই বলে পাকিস্তানের বোলাররা হয়তো স্বস্তি পাবেন। তবে এই দল নিয়েও জয় পাওয়ার ক্ষমতা আছে ভারতের। বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার মতো ব্যাটসম্যান আছেন তাঁদের দলে। কিন্তু ভারতের জন্য ‘মাইনাস পয়েন্ট’ বিশ্বকাপের ঠিক আগে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট এবং ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে ব্যর্থতা। যত দ্রুত তারা সেই হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে, ততই তাদের জন্য মঙ্গল।
বর্তমান পারফরম্যান্সের নিরিখে পাকিস্তানও খুব একটা পিছিয়ে নেই। দলটির ব্যাটিং লাইন-আপ বেশ লম্বা। আর ঐতিহ্যগতভাবেই তারা কিছু পেস বোলার পেয়ে থাকে, যারা অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে ভালো করতে পারেন। আমার ধারণা, পাকিস্তানের তরুণ পেসাররা ভারতের ব্যাটসম্যানদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারেন।
পাকিস্তানের ‘ট্রাম্প কার্ড’ হতে পারেন তরুণ ব্যাটসম্যান শোয়েব মাকসুদ। তার পরিণত ব্যাটিং দেখে আমি মুগ্ধ। তার মধ্যে ইনজামাম-উল-হকের ছায়া দেখতে পাচ্ছি।
একটা বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা হলো ‘টস ভাগ্য’। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে যে দল টস জিতে আগে ব্যাট করবে, তাদের ভালো করার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচেই তা প্রমাণিত।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ।