বৃষ্টিতে সব রোমাঞ্চের সমাপ্তি
শেষ পর্যন্ত বিজয়ীর নাম বৃষ্টি! তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ১৭ রানে এগিয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে দ্বিতীয় ইনিংসের ১০ উইকেট—জমজমাট লড়াইয়ের চিত্র। কিন্তু চট্টগ্রাম টেস্ট জমতে পারল কই! আগের দিনের মতো শনিবার শেষ দিনেও বৃষ্টির দাপটে প্রথম টেস্টের পরিণতি হলো একটাই, ড্র। দুপুর ১২টার দিকে ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড জানিয়ে দেন খেলা হওয়া সম্ভব নয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের প্রথম ড্র। আগের আট টেস্টের সাতটিই ইনিংস ব্যবধানে জিতেছিল প্রোটিয়ারা। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিরপুরে অনুষ্ঠিত অন্য ম্যাচে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকানরা। সেই মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামেই ৩০ জুলাই থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
আবহাওয়া অফিসের সূত্রগুলো আগেই জানিয়েছিল, শনিবার সারা দিনে বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা খুবই কম। চট্টগ্রামে সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টিতে চতুর্থ দিনের মতো শেষ দিনেও একটি বলও হতে দিল না।
ওয়ানডে সিরিজ জিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশ ম্যাচের প্রথম দিন থেকেই চালকের আসনে ছিল। অভিষিক্ত মুস্তাফিজুর রহমান (৪/৩৭) ও পঞ্চম টেস্ট খেলতে নামা জুবায়ের হোসেনের নৈপুণ্যে (৩/৫৩) ২৪৮ রানে গুঁড়িয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস। জবাবে মাহমুদউল্লাহ-তামিম-লিটনের তিন অর্ধশতকে ৩২৬ রান করে ৭৮ রানের লিড পায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা অবশ্য ভালোই হয়েছিল প্রোটিয়াদের। স্টিয়ান ভ্যান জিল (৩৩*) আর ডিন এলগারের (২৮*) দৃঢ়তায় বিনা উইকেটে ৬১ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল অতিথিরা। তাই জমজমাট লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু বৃষ্টি ক্রিকেটপ্রেমীদের আশার গুড়ে বালি ঢেলে দিল শেষ পর্যন্ত।