দুই বছর পর ওয়ানডেতে মুশফিকের শতক
টেস্টে অধিনায়কত্ব নিয়ে নানাবিধ প্রশ্ন উঠলেও মুশফিকের ব্যাটিং নিয়ে আলোচনা ছিল না। নিয়মিতভাবেই রান পাচ্ছিলেন বাংলাদেশের মিডল অর্ডারের অন্যতম ভরসাখ্যাত এই ব্যাটসম্যান। ওয়ানডেতে ধারাবাহিকভাবে ভালো ব্যাটিং করছেন তিনি, কেবল শতকটাই আসছিল না। অবশেষে সেই দেয়ালটাও ভাঙলেন মুশি। দুই বছর পর ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি পেলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ২০১৫ সালে নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ শতকের দেখা পান তিনি। আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতক পূর্ণ করলেন তিনি।
১৪তম ওভারের শেষ বলে ইমরুল কায়েস আউট হলে উইকেটে আসেন মুশফিক। ১৬তম ওভারে প্রিটোরিয়াসকে চার মেরে শুরুটা করেন মুশি। এরপর আর পেছনের দিকে তাকননি। ২৯তম ওভারে অভিষিক্ত ডেন পিটারসনকে ছক্কা মেরে ৫২ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এর আগে অবশ্য তাকে একা করে আউট হন সাকিব।
এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে টাইগারদের রানের চাকাটা সচল রাখেন মুশফিক। মুশির রান যখন ৭৫, সাকিবের মতো তাঁকে একা রেখে ফিরে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে মুশি ছিলেন অবিচল। অপরপ্রান্তে প্রোটিয়া বোলারদের শাসন অব্যাহত রাখেন তিনি। ৪৩তম ওভারে ইমরান তাহিরকে চার মেরে ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়ে যান মুশি। এর আগে ২০১৫ সালে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৯০ রান করেছিলেন সৌম্য সরকার। এত দিন প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এটাই কোনো টাইগার ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রান ছিল। আজ সতীর্থকে ছাড়িয়ে গেলেন মুশি।
রাবাদার করা ৪৬তম ওভারে তৃতীয় বলে দুই রান নিয়ে শতক পূর্ণ করেন মুশফিকুর রহিম। ওয়ানডেতে মুশির এটি পঞ্চম শতক। ২০০৬ সালে অভিষিক্ত মুশফিক এখন পর্যন্ত ১৭৭ ম্যাচে পাঁচটি সেঞ্চুরি ও ২৭টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। ২০১৪ সালে ফতুল্লাতে ভারতের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা ১১৭ রান করেন তিনি।