স্কয়ার ড্রাইভ
ক্যাচ ছাড়ার মাশুল দিল পাকিস্তান
ডে-নাইট ম্যাচে ‘টস’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভারত টস জিতে অনেকখানি এগিয়ে যায়। আর পাকিস্তানের দুর্বল ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নিয়ে বড় একটা টার্গেট ছুড়ে দেয় প্রতিপক্ষকে। আফ্রিদি-মিসবাহদের এর মাশুল দিতে হয়েছে বড় ব্যবধানে হেরে।
তবে এই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে দুটি ক্যাচ ‘মিস’। ভারতের একাদশ ওভারে লং-অনে বিরাট কোহলির ক্যাচ ফেলে দেন আহমেদ শেহজাদ। ব্যক্তিগত ১৪ রানে এই ‘লাইফ’ পেয়ে কোহলি দারুণ একটি সেঞ্চুরি উপহার দেন দলকে।
অন্যদিকে সুরেশ রায়নার ক্যাচ ফেলে দেন ইয়াসির শাহ। রায়না তখন ব্যাট করছিলেন ১৮ রান নিয়ে। ৫৬ বলে ৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংস তিনি খেলতে পেরেছেন এই ‘লাইফ’ পেয়েই। মূলত এই দুটি সুযোগ পাওয়ার কারণে ভারতের পক্ষে সম্ভব হয়েছে প্রতিপক্ষের সামনে একটি বড় টার্গেট দাঁড় করানো।
এমনিতে এই উইকেটে ২৬০ রানের বেশি ‘চেজ’ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। পাকিস্তানের বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণেই বাড়তি রানগুলো হয়েছে। তবে পাকিস্তানের বোলাররা খুব একটা খারাপ বল করেনি।
এত বড় টার্গেট মাথায় নিয়ে পাকিস্তানের শুরুটাও খারাপ ছিল না। কিন্তু ২৪ ও ২৫তম ওভারে মাত্র আট বলের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হাতছাড়া করে ফেলে পাকিস্তান। আহমেদ শেহজাদ, শোয়েব মাকসুদ ও উমর আকমলের দ্রুত বিদায়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ভারতের হাতে।
তবে এক্ষেত্রে ভারতীয় বোলাদের কৃতিত্ব না দিলেই নয়। তাঁরা পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের বাজে শট খেলতে বাধ্য করে উইকেট তুলে নিয়েছেন। এই কৌশল কাজে লাগিয়ে তারা সফলতা পেয়েছেন, আর পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হয়েছেন।
পাকিস্তানের এই হার থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। এই ম্যাচ জেতায় ভারতের খেলোয়াড়দের মনোবল অনেক বেড়ে যাবে। বিশ্বকাপের ঠিক আগের ব্যর্থতাজনিত হতাশা ঝেড়ে ফেলে তারা অনেক দূর যেতে পারবে বলেই মনে হয়।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচও তিনি।