দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় হার বাংলাদেশের
টেস্টের মতো ওয়ানডে সিরিজটাও স্বাগতিকদের হাতে তুলে দিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ৩৫৪ রানের জবাবে টাইগারদের ইনিংস শেষ হয় ২৪৯ রানে। ১০৪ রানের হারে সিরিজটাও খোয়াল বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডের মতো এই ম্যাচেও দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেনি মাশরাফির দল।
বোলাররা ছন্নছাড়া বল করেছেন আর ব্যাটিং করতে নেমে ইমরুল কায়েস ও মুশফিকুর রহিম ছাড়া আর কেউ দায়িত্বের সঙ্গে খেলতে পারেননি। প্রথম ওয়ানডেতেও এই দুজন ছিলেন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোরার। সেই ম্যাচে ১০ উইকেটে হারে বাংলাদেশ।
৩৫৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আজ শুরুতে বেশ ইতিবাচকভাবে ব্যাটিং করেন তামিম ও ইমরুল। তবে অষ্টম ওভারে এসে প্রতিরোধটা শেষ হয়। দলীয় ৪৪ রানে ডিন প্রিটোরিয়াসের বলটা ঠেকাতে পারেননি তামিম। বল এসে লাগে তাঁর প্যাডে। প্রোটিয়া ফিল্ডারদের আবেদনে সাড়া দিতে মোটেও সময় নেননি আম্পায়ার। তামিমও রিভিউ নেওয়ার সাহস করেননি। ২৩ রান করেন তিনি।
এরপর ভালো খেলছিলেন লিটন দাস। ফেলুকায়োর বলে তিনিও লেগ বিফোর হন। রিভিউ নিলেও বাঁচতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান। ১৪ রান করেন লিটস। এরপর লড়াইটা চালিয়ে যান ইমরুল কায়েস ও মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯৩ রান যোগ করেন তাঁরা। এরপর দলীয় ১৬২ রানে ফিরে যান ইমরুল। খানিক বাদে ফিরে যান সাকিব আল হাসানও। ইমরুল ৬৮ রান করেন। সাকিব করেন মাত্র ৫ রান।
মুশফিকুর রহিমের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। গত ম্যাচের এই সেঞ্চুরিয়ান এই ম্যাচেও দুর্দান্ত খেলছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত লড়াইটা টেনে নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। প্রিটোরিয়াসের বলে ডুমিনিকে ক্যাচ দেন এই ব্যাটসম্যান। আউট হওয়ার আগে ৭০ বলে চারটি চারে ৬০ রান করেন মুশি।
মুশফিকের বিদায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের শেষ আশাটুকুও শেষ হয়ে যায়। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নাসির হোসেন, সাব্বির রহমানরা কেবল রানের ব্যবধানটাই কমিয়েছেন। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে অ্যানদিলে ফেলুকায়ো নিয়েছেন চারটি উইকেট। এ ছাড়া ইমরান তাহির নেন তিন উইকেট।
এর আগে পার্লের বোল্যান্ড পার্কে চার উইকেটে ৩৫৩ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিকরা। প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও সাবলীলভাবে ব্যাটিং করছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও হাশিম আমলা। উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেছিলেন ৯০ রান। এরপর ১৮তম ওভারে অবশ্য বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এক ওভারেই আউট করেছেন ডি কক ও ফাফ দু প্লেসিকে। এরপর এবি ডি ভিলিয়ার্সের ১৭৬ রানের মহাকাব্যিক ইনিংসে ৩৫৩ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় প্রোটিয়ারা। রুবেল হোসেন চার ও সাকিব আল হাসান নেন দুটি উইকেট।